করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Coronavirus Second Wave) টালমাটাল পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের রেকর্ড ভেঙে দেশে করোনা আক্রান্তের (COVID 19 Positive) সংখ্যা পেরিয়েছে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার। রাজধানীতে আক্রান্ত (Delhi Corona Update) প্রায় ২৫ হাজার, মহারাষ্ট্রে সংখ্যাটা ৭০ হাজারের বেশি। এমতাবস্থায় দিল্লি-সহ (Delhi) উত্তরপ্রদেশ (UttarPradesh), রাজস্থান (Rajasthan), পঞ্জাবে (Punjab) লকডাউন (Lockdown) জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এরপরই দেশের বড় বড় রেলস্টেশন থেকে বাস টার্মিনাস, ভিড় জমতে শুরু করেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের।রাজস্থানে যারা কাজ করেন, তাঁদের বেশিভাগের বাড়ি উত্তরপ্রদেশ বা বিহারে। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার জয়পুর স্টেশনে বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে।
শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে বহু কারখানা, শিল্পক্ষেত্র, ক্যাটারিং পরিষেবা, হোটেল ব্যবসা ফের বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বে। তখন সেই বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলতে হবে তাঁদের। তাই বাড়ি ফেরাই একমাত্র পথ। করোনার জন্য্য যদি ফের ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়, তাই আর দেরী না করে লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির পথ ধরেছেন সকলে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের পর এবার অক্সিজেনের আকাল, ‘ভয় পাবেন না’ আশ্বাসই সম্বল কেন্দ্রের
গত বছর মার্চ মাসে দেশজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবিটা সবারই জানা। একাংশের পরিযায়ী শ্রমিকরা দিল্লি থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ফিরেছেন। মাইলের পর মাইল হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার নিজের ঘর পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি। ঘরমুখী শ্রমিকদের অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে রাস্তাতেই। অনাহারে, অসুস্থ হয়ে অথবা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এমন শ্রমিকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। গোটা দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার খণ্ডচিত্র ছড়িয়ে আছে।
উল্লেখ্য গত বছর সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র জানায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে কোনও তথ্য নেই। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক জানিয়েছিল, লকডাউন চলাকালীন কত জন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন সেই পরিসংখ্যান নেই। পরিসংখ্যান যেখানে নেই সেখানে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, এই সময় কালে দেশজুড়ে কত জন কাজ হারিয়েছেন, সেই হিসেবও রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন: Breaking : করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং