অক্সিজেন সংকট, ‘প্রচারে ব্যস্ত’ মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেন না উদ্ধব!

নবাব মালিকের এই অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হয়েছে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের টুইটেও।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি দেশের মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ ডজনখানেক রাজ্য। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব, দরিদ্রদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের অভাবের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে হতাশ হতে হল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে।

মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা নবাব মালিকের অভিযোগ,”মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বারবার রেমডিসিভির এবং অক্সিজেনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু তাঁকে জানানো হয়েছে, মোদি বাংলার ভোটপ্রচারে ব্যস্ত আছেন।” এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ,”করোনার কামড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, আর প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি করছেন।” নবাব মালিকের দাবি, ভ্যাকসিনের সংশাপত্রে যেভাবে মোদির ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই করোনায় মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটেও থাকা উচিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি। মোদি যদি টিকাকরণের কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন, তাহলে মৃত্যুর দায় নেবেন না কেন?

নবাব মালিকের এই অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হয়েছে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের টুইটেও। তিনি আবার বলছেন,”আশ্চর্যজনক! মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নিজের রাজ্যের জন্য অক্সিজেন চেয়ে। তাঁকে নাকি বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্রচারে ব্যস্ত। পরে যোগাযোগ করবেন।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও ।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত যোগী আদিত্যনাথ! সংক্রমিত অখিলেশও

যদিও, নবাব মালিকের অভিযোগের কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা আসে কেন্দ্রের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্র মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। শুক্রবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী নিজে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। আসরে নামেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও । উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে আশ্বস্ত করেন, রাজ্যে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং ওষুধ সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে চলছে আট দফার বিধানসভা ভোট। শনিবার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের দিনেও রাজ্যে প্রচারে এসেছেন মোদী। এটাই এখন নিয়মে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বিজেপির অন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। বড়োবড়ো রোড শো, জমায়েত কোনো কিছুরই খামতি নেই। নির্বাচন কমিশন বাধ্যতামূলক করলেও বড়ো জমায়েতে শারীরিক দূরত্ব অথবা মাস্কের চিহ্ন চোখে পড়ছে না অনেক জায়গাতেই।

আরও পড়ুন: ভাঙল ঘুম? ২ শাহি স্নানের পর ‘প্রতীকী’ কুম্ভমেলার আর্জি মোদীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest