এ রাজ্যে বসেই চলছিল নয়াদিল্লিতে বড়সড় নাশকতার ছক। তার আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। একই সঙ্গে কেরল থেকেও গ্রেফতার হয়েছে সংগঠনের আরও তিন জন। অর্থাৎ, মোট ৯ জনের ওই মডিউল নাশকতার ছক কষেছিল রাজধানীতে । শনিবারের ভোরের অভিযানের পর এনআইএ গোয়েন্দাদের তেমনই দাবি।
এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃত ৬ জনকে এদিন দুপুরেই কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করা হবে। এনআইএ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল এবং আতিউর রহমান নামে ৫ জনকে। গোয়েন্দাদের দাবি, এরা প্রত্যেকেই আল কায়দার ভারতীয় শাখার সক্রিয় সদস্য। অন্যদিকে, একই সঙ্গে এনআইএ অভিযান চালায় কেরলের এর্নাকুলামে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোশারফ হোসেনকে।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত ভূষণের পর এবার ১৮ বছরের পুরনো মামলায় “মোদী বিরোধী” অরুণ শৌরি
এনআইএ-র গোয়েন্দাদের দাবি, কেরল থেকেও যাদের পাকড়াও করা হয়েছে, তাদের মধ্যেও দু’জন আবার এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। গোটা নেটওয়ার্ক চলছিল মুর্শিদাবাদ থেকেই। ধৃতদের কাছ থেকে জিহাদি বইপত্র থেকে শুরু করে বিস্ফোরক, ধারাল অস্ত্র, আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস), বডি আর্মার অর্থাৎ ঢালের মতো জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, আল কায়দার এই ভারতীয় শাখা ‘কায়দাতুল জিহাদ’ বা ‘আল কায়দা ইন সাব কন্টিনেন্ট’ দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে বসে তাদের সংগঠনের বিস্তার ঘটাচ্ছে। পাকিস্তান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা সদস্য সংগ্রহ করেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এই মডিউলটির পরিকল্পনা ছিল দিল্লির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষদের হত্যা করা।
এনআইএ গোয়েন্দাদের একটি অংশ ইঙ্গিত দিয়েছে, রাজ্যে সক্রিয় জামাতুল মুজাহিদিনের সালাউদ্দিন-পন্থী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই আল কায়দাকে এ রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে সহযোগিতা করছে। তাদের সন্দেহ, এই মডিউলের সঙ্গে জামাতেরও সরাসরি যোগ রয়েছে। এই গ্রেফতারির ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার ছক রুখে দেওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ।
আরও পড়ুন: ইচ্ছে মত ট্রেনের ভাড়া নিতে পারবে বেসরকারি সংস্থা, জানাল সরকার