অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের মতো এখন অতিপ্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিটি মূহুর্তে এটার প্রয়োজন। অথচ সেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য অ্যালকোহল ভিত্তিক স্যানিটাইজারের দাম বাড়তে চলেছে। একধাক্কায় তার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপিয়েছে সরকার। স্বভাবতই এর ফলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম হবে আকাশ ছোঁয়া। ফলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি কীভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনবেন, তা চিন্তা বিষয় হয়ে দাঁড়াতে চলেছে।
এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যে, সাবান, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লিক্যুইডের ওপর ১৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। একই ধরনের জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ওপর তাই ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য হয়েছে। ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, জিএসটি কাউন্সিলে রাজ্য সরকারগুলিও জিএসটি-র রেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। জিএসটি রেট কমানো হলে আমদানি করা পণ্য বাজারে বেশি সুবিধা পেয়ে যাবে। তা কেন্দ্রীয় সরকারের আত্মনির্ভর ভারতের নীতির বিরোধী। আমজনতারও কিছু লাভ হবে না কারণ দেশীয় সংস্থাগুলির সমস্যা হওয়ায় আখেরে স্যানিটাইজারের দাম কমবে না। এই ব্যাখ্যাই দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: দেশেও শুরু মানবদেহে করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা, প্রতি জায়গায় ১,০০০ জনের ট্রায়াল
গোয়ার স্প্রিংফিল্ড ইন্ডিয়া ডিস্টিলারিজের একটি আবেদনের জবাবেই এই কথা জানিয়েছে AAR। কেন্দ্রের আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর ১৮ শতাংশ কর চাপানো হবে। তার বিরুদ্ধে Authority for Advance Ruling-এর দ্বারস্থ হয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তাঁদের দাবি ছিল, এটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত পণ্য। তাই এটার উপর ১২ শতাংশ জিএসটি চাপানো হোক। সে আরজি খারিজ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘যে কোনও পণ্যকে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক নির্দিষ্ট করা হলেই তা জিএস তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না।’
হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যেই মাস্ক ও স্যানিটাইজারকে অতাবশ্যক পণ্যের তালিকা থেকে সরিয়ে দিল কেন্দ্র। এখন আর এই দুই পণ্যের জোগানে কোনও ঘাটতি নেই, এই যুক্তি দিয়ে এদের তালিকা থেকে বার করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মহামারী কালে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য। যতক্ষণ না ভ্যাক্সিন মিলছে, ততক্ষণ এই ভাইরাসকে ঠেকাতে একমাত্র উপায় অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কিন্তু তার দামও বেড়ে গেলে, আদও দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষজন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন তো, উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: করোনায় ড্যামেজ হতে পারে ব্রেনও , বলছেন বিজ্ঞানীরা