অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের মৃত্যু গণহত্যার শামিল: এলাহাবাদ হাইকোর্ট

মামলার শুনানিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু অপরাধমূলক ঘটনার মধ্যে পড়ে বলে জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ঘটনা গণহত্যার থেকে কম নয় বলেও জানিয়েছে আদালত।

উত্তরপ্রদেশের লখনউ ও মেরঠে সম্প্রতি অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।

বিচারপতিদের তরফে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘‘হাসপাতালে শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা যন্ত্রণা পেয়েছি। এই ধরনের ঘটনা অপরাধমূলক এবং তা কোনও অর্থেই গণহত্যার থেকে কম নয়। আর এই গণহত্যার দায় তাঁদের উপর বর্তায় যাঁদের কাজ প্রতিটি মুহূর্তে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা। যখন বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়েছে, হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের মতো ঘটনা ঘটছে, তখন এ ভাবে কী করে আমরা মানুষকে মরতে দিতে পারি?’’

আরও পড়ুন: WB election 2021: নন্দীগ্রামেও বদলাবে ফল, প্রত্যয়ী মমতা ডাকলেন জরুরি বৈঠক

লখনউ ও মেরঠে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই জেলার জেলাশাসককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শুনানির পরবর্তী তারিখে লখনউ, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, গোরখপুর, গাজিয়াবাদ, মীরাট, গৌতমবুদ্ধ নগর এবং আগ্রার পঞ্চায়েত ভোটগণনার সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে কমিশন যদি দেখতে পায় যে করোনাভাইরাস বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে, তাহলে একটি নির্দিষ্ট ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ (কী করা হবে) নিয়ে কমিশনকে হাইকোর্টের সামনে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমনিতেই  উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটিতে গিয়ে ১৩৫ জন ভোটকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শোকজ নোটিশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ডিভিশনের বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, ‘ভোটের কাজে থাকা আধিকারিকরা যাতে মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত না হন, তার জন্য পুলিশ বা নির্বাচন কমিশন কিছুই করেনি বলে মনে হচ্ছে।’ তারইমধ্যে একটি মামলায় গণনাকেন্দ্রে করোনা বিধি মেনে চলা হবে বলে কমিশন আশ্বাস গণনার অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: মমতা একা নন, বিধায়ক না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার নজির অতীতেও রয়েছে এ দেশে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest