মোদী সরকারের বিরোধিতার শাস্তি! ফ্রিজ অ্যাকাউন্ট,ভারত থেকে হাত গোটাল অ্যামনেস্টি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিশ্ববাসীর মানবাধিকার সুরক্ষিত করাই তাদের প্রচেষ্টা। ভারতে সেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সঙ্কটের মুখে। সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’। বাধ্য হয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ভারতে সব কাজকর্ম বন্ধ করে দিল আন্তর্জাতিক এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

ভারতের সব কর্মীকেও কার্যত ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল অ্যামনেস্টি।অনেকের প্রশ্ন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া, দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের মতো ঘটনায় মোদী সরকারের সমালোচনা করার জন্যই কি মাসুল দিতে হল অ্যামনেস্টি-কে?

আরও পড়ুন : আর কত দিন বন্দি রাখা হবে মেহবুবাকে, কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনা করার ‘শাস্তিস্বরূপ’ মানবাধিকার সংগঠনের সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে কেন্দ্র সরকার। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে মোদি সরকারের দাবি, নিয়ম বর্হিভূতভাবে বিদেশি অনুদান গ্রহণ করেছে এই সংগঠন।

ভারতে কোনও সংস্থা যদি বিদেশি অনুদান নিতে চায় তবে বিদেশি অনুদান (নিয়ন্ত্রণ)আইনে নথিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক। নয়াদিল্লির অভিযোগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তা করেনি। আবার কোনও অলাভজনক সংস্থা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের চ্যানেলে বিদেশি অর্থ নিতে পারে না। অ্যামনেস্টি সেটাই করেছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। মন্ত্রকের বক্তব্য, সেই কারণেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)

নয়াদিল্লির তরফে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলি উড়িয়ে দিয়ে অ্যামনেস্টির বক্তব্য, ‘‘ভারত সরকারের ক্রমাগত মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে অপদস্থ করার অপচেষ্টার এটা শেষ নিদর্শন। প্রমাণ হয়নি এমন অভিযোগ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতেই সরকার এই ব্যবস্থা নিয়েছে।’’ দেশের সমস্ত আইন কানুন মেনে তাঁরা কাজকর্ম করেন বলেও দাবি করেছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।

গত বছরের অগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছিল উপত্যকায়। মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, ইন্টারেন্ট, কেবল টিভি-সহ যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ করে রেখেছিল কেন্দ্র। তাতে জম্মু কাশ্মীরের নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আবার এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময়েও একই অবস্থান ছিল সংস্থার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, এই সব কারণেই অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন : ‘বিজেপি ক্ষমা চাও’, অনুপমের কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে মমতার পাশে অধীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest