কোল্লাম: অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে ‘খুনের’ ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মাঝেই ফের সামনে এল আরেকটি হাতির মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর। কেরলের মালাপ্পুরমের পর এবার ঘটনাস্থল কোল্লাম।
পথানাপুরাম জঙ্গলের কাছে সেই আহত হাতিটিকে দেখতে পেয়েছিলেন বন কর্মীরা। তাকে ধরে ওষুধ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে যায়। এর পরের দিন হাতিটি মারা যায়। ওই হাতিটির ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি বন দফতরের কর্মীরা। তবে ওই হাতিটির মুখেও গভীর ক্ষত ছিল। আর সেটা বিস্ফোরকের জন্য বলেই মনে করছেন বনকর্মীরা। বন কর্মীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরক দিয়ে হাতি তাড়ানোর রেওয়াজ কেরলে অনেকদিনের। কিন্তু সম্প্রতি এভাবে ফলের মধ্যে বাজি ঢুকিয়ে হাতিদের মারা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গুজরাতের রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৮, আহত ৫০
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, দোষীদের কঠিন শাস্তি হবে। ইতিমধ্যে পুলিস ও বন দফতর একসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে বন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে হাতি শিকারের মামলা করা হবে। কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।
রাজ্যের বন বিভাগের অফিসার মোহন কৃষ্ণন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নক্কারজনক ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন। আনারসের মধ্যে বাজি ভরে খাওয়ানো হয়েছিল ওই হাতিকে। ঘটনা কেরলের মালাপ্পুরম জেলার।বিস্ফোরণের জেরে শরীরের ভিতরে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল ওই হাতির। এরপর সেই অবস্থাতেই তীব্র যন্ত্রণায় বেশ কয়েকদিন গ্রামের আশেপাশে ঘুরে বেড়ায় হাতিটি,এরপর ভেল্লিয়ার নদীতে নেমে যায় যন্ত্রণা লাঘব হওয়ার আশায়। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যু হয় হাতিটির। পরে জানা যায় হাতিটি গর্ভবতী ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকেই সরব নেটিজেনরা। এই বর্বর ও নৃশংস ঘটনা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল মনষ্যত্ব আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে!
আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহারে অনুমোদন দিল ভারত