রবিবার ফারুক আবদুল্লা এক সাক্ষাতকারে বলেন, চিনের সমর্থনে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরে আসবে। ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেওয়া ওই সাক্ষাতকারে ফারুক বলেন, এলএসিতে চিনা আগ্রাসনের পেছনে আসল কারণ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ। চিন কখনই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপকে সমর্থন করেনি। আশা করছি চিনের সমর্থনেই কাশ্মীরে ওই ধারা ফিরবে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370) ও ৩৫এ ধারার অবলুপ্তি ঘটায় কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। ফলে ভূস্বর্গ তার বিশেষ মর্যাদা হারায়। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু একটি এবং কাশ্মীর ও লাদাখ মিলে আরেকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক নেতারা। এদিন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন ফারুক আবদুল্লা।
আরও পড়ুন : IPL 2020: অনবদ্য,অবিশ্বাস্য…দেখে নিন চলতি আইপিএলের সেরা ৫ ক্যাচ
এদিনের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও একহান নেন ফারুক। বলেন, “আমি চিনের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানাইনি। প্রধানমন্ত্রী ওঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। চেন্নাই নিয়ে গিয়ে একসঙ্গে খাবার খেয়েছেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, সংসদের বাদল অধিবেশনে তাঁকে কাশ্মীরের মানুষের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে দেওয়া হয়নি।
চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, “চিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখকে (Ladakh) মান্যতা দেয় না। ভারত বেআইনিভাবে এটিকে কেন্দ্রশাসিত (UT) অঞ্চলে পরিণত করেছে।” এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য বিতর্ক আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কাশ্মীরে কমে নিয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা। নিয়ম করেই দেশের জওয়ানদের প্রাণ যাচ্ছে। সাধারণ কাশ্মীরিদের বাক স্বাধীনতাটুকু নেই। অলিতে গলিতে সেনা। এই ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ‘ স্লোগানের যুগেও তাদের দিন কাটছে ২-জি তে। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এখনও বন্দি। এই মুফতির দলের সঙ্গেই সরকার গড়েছিল বিজেপি। রাআগে ফুঁসছে গোটা কাশ্মীর। কিন্তু তাদের বার্তা সমতল পর্যন্ত নিয়ে আসবে কে। মিডিয়ার কন্ঠ তো বন্ধ। সমতলের লোক ভাবছে সব বুঝি ঠিক হয়ে গিয়েছে। আসলে বন্দুকের নলের সামনে রাখা হয়েছে কাশ্মীরীক। আগেই the wire কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেছিলেন ফারুক আব্দুল্লাহ।
দেশের প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে যে মিথ্যাচার করেছিলেন, সে অভিযোগও করেছিলেন তিনি। ফারুক বলেছিলেন যেভাবে নয়াদিল্লি কাশ্মীরের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে ,তাতে সেখানকার জনগণ বাধ্য হয়েই চীনের সাহায্য চাইবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কয়েকটি পরিবার কাশ্মীরের উন্নতি হতে দেয়নি। অথচ সংসদে গুলাম নবী আজাদ তথ্য সহ দেখিয়ে দেন উন্নয়নের মাপকাঠিতে গুজরাটের থেকে অনেক আগে রয়েছে কাশ্মীর। সমতলের বাসিন্দাদের কাছে কাশ্মীরিদের সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করেছে নয়া দিল্লি।
আরও পড়ুন : খাস কলকাতায় স্পা সেন্টারের আড়ালে মধুচক্র! জড়িত টেলি অভিনেতাও, গ্রেফতার ১৬