ধুবড়ির বিদেশী ট্রাইবুনালে গত ৪ বছর ধরে এজিপি অর্থাৎ এসিস্টেন্ট গভর্মেন্ট প্লিডার ছিলেন কামাল হুসেন আহমেদ (৫০). এবার তাঁকে সরানো হল। অসম বর্ডার পুলিশ যাদের সন্দেহজনক মনে করে সেই সব নাগরিকদের বিচার হয় এই বিদেশী ট্রাইবুনালে। এনআরসিতে যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের বিচার চাওয়ার জায়গাও এই ট্রাইবুনাল। প্রতিটি বিদেশী ট্রাইবুনালে একজন করে এজিপি থাকেন।
আরও পড়ুন : প্রয়াত প্রখ্যাত সমাজসেবী স্বামী অগ্নিবেশের
৮ সেপ্টেম্বর আইনজীবী আহমেদ ও বাকি ৬ মুসলিম আইনজীবীকে এজিপি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জায়গায় বলবৎ হয়েছে বাঙালি হিন্দু আইনজীবী। স্বাভাকিভাবেই সোনোয়াল সরকারের বিরুদ্ধে ফের একবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল। আইনজীবী হুসেন আহমেদ বলেন, ‘এটি আসলে রাজনৈতিক বৈষম্য ছাড়া কিছু নয়। ধর্মীয় কারণ সামনে রেখে বৈষম্য করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কোনো কারন ছাড়াই ডেপুটি কমিশনার কাউকে এইভাবে সরাতে পারেন না। আমাদের নাম বাতিলের এমন সুপারিশও তিনি করতে পারেন না। সংগত কারণে স্বরাষ্ট্র সচিব অথবা গৌহাটি হাইকোর্ট কারণ দর্শাতে বলেছে।
টার্মিনেশন নোটিশে সই রয়েছে যুগ্ম স্বরাষ্ট্র সচিবের। এজিপি থেকে যে ৭ মুসলিম আইনজীবীকে সরানো হয়েছে তাদের নাম আমিনুল ইসলাম, কামাল হুসেন আহমেদ, রবিউল হক মন্ডল, আফতাবউদ্দিন আহমেদ, সাহাবুল আহমেদ এবং মতিউর রহমান পরামানিক এবং হুসেন আহমেদ।
এই আইনজীবীদের জায়গায় আনা হয়েছে ঋতুপর্ণ গুহ, গকুল চন্দ্র কর্মকার,অধীর চন্দ্র রায়, অনিন্দ্য পাল, শংকর প্রসাদ চক্রবর্তী, আনন্দ কুমার রায় এবং সংগীতা কোয়েরি। ধুবড়ীর বিভিন্ন বিদেশী ট্রাইবুনালে এখন মুসলিম আইনজীবীদের জায়গায় তারাই কাজ সামলাবেন।
আরও পড়ুন : অবিশ্বাস্য! ১৫ বছর যৌন মিলন না করেও ডিম পাড়ল ৬২ বছরের স্ত্রী পাইথন