অসম নির্বাচন: শেষ দফায় ভোট পড়ল ৮১.৬৬ শতাংশ

২০টি আসনই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এবং আটটি আসন বোড়োল্যান্ড অঞ্চলে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মঙ্গলবার অসমে ছিল তৃতীয় তথা শেষ দফার বিধানসভা নির্বাচন। এই দফায় মোট ৪০টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। মোট ৩৩৭জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হল এদিন। যাদের মধ্যে ২৫ জন মহিলা। তফশিলি জাতির জন্য ৬টি ও তফশিলি উপজাতির জন্য ২টি আসন সংরক্ষিত।

এই দফায় উল্লেখযোগ্য আসনগুলি হল মানকাচার, ধুবরি, কোকরাঝড়, জালুকবাড়ি, দিসপুর প্রমুখ। তৃতীয় দফায়  ৪০টি আসনের মধ্যে শাসক জোটে বিজেপি ২০টি আসনে, এজিপি ১২টি ও ইউপিপিএল ৮টি আসনে লড়াই করল। অন্যদিকে, বিরোধীদল কংগ্রেস ২৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। এআইইউডিএফ ১২টি, বিপিএফ ৮টি আসনে ও সিপিআইএম একটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করল।  ২০টি আসনই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এবং আটটি আসন বোড়োল্যান্ড অঞ্চলে।

তৃতীয় দফার উল্লেখযোগ্য প্রার্থী হলেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জালুকবাড়ি আসনের প্রার্থী ছিলেন।গত কয়েক দিনের মধ্যে বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি।  এ দিন তিনি বলেন,  “এই দফায় ৪০টি আসন রয়েছে, কমপক্ষে ২২টি আসনে জয়ী হব আমরা। এই সংখ্যাটি বাড়তেও পারে। গতবারের নির্বাচনে আমরা ৮৪টি আসন পেয়েছিলাম। এ বার কমপক্ষে ৯০টি আসনে জয়ী হব আমরা। “

আরও পড়ুন: পড়ে বাড়ি ফেরার সময় গণধর্ষণ যোগী রাজ্যে, আত্মঘাতী নাবালিকা

এছাড়াও ধরমপুর থেকে চন্দ্র মোহন পাটোওয়ারি, গৌহাটি পূর্ব থেকে সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য্য লড়াই করলেন। পাথরকুচি আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রঞ্জিৎ কুমার দাস। সকাল নটা অবধি ভোটের হার এক শতাংশেরও কম হলেও বেলা ১১টায় জানা যায়, মোট ৩৩.১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে ৪০টি আসনে। দুপুর একটায় তা বেড়ে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। শেষ পর্যন্ত জানা যায় মোট ৮১.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

বোডোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের প্রধান কার্যনির্বাহী সদস্য প্রমোদ বোরো অসমে এনডিএর সরকার গঠনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। ভোটপর্ব চলাকালীনই বোডোল্যান্ডের প্রধান সদস্য প্রমোদ বোডো বলেন, “অসমে বিরোধীদের কোনও মুখই নেই। সাধারণ মানুষ এনডিএ সরকারকেই ভোট দেবে। তৃতীয় দফায় ইউপিপিএল ও বিজেপি বোডোল্যান্ডের আটটি আসনেই জয়লাভ করবে।”

এমনিতে অসমে এখনও বিজেপির প্রতি পাল্লা ভারী রয়েছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা। তবুও শেষ বেলায় বাজিমাত করতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস-ইউডিএফ-বাম জোট।

আরও পড়ুন: সু্প্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest