Kerala Election 2021: ৪০ বছরের ধারা পালটে যাবে কেরলে? নাকি নেতা হিসাবে উত্থান হবে রাহুলের

ভোটপূর্ব সমীক্ষার ফলে লাল ঝড়ের ইঙ্গিত মিললেও কেরালাবাসী কার পক্ষে মত দেবেন তা জানা যাবে ২মে গণনার পর।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

১৪০ বিধানসভা আসনের কেরালায় মসনদ হবে কার? রাম, বাম নাকি হাত? ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির মাঝেই মঙ্গলবার রাজ্যবাসী জানিয়ে দিল তাদের রায়। গতবারের তুলনায় কিছুটা কমল ভোটের হার। এদিন মোট ৬৯.৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কেরালা বিধানসভার ত্রিমুখী লড়াইয়ে সামিল সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ , কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং গেরুয়া বাহিনী। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী এ বার কেরলে চল্লিশ বছরের ধারা পালটে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। যে কেরলে প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলে যাওয়াই দস্তুর, সেখানে এ বার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন বামজোট।

দু’ বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছিল বামেদের। ওই নির্বাচনে কেরলে ২০টি আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছিল বামেরা। বাকি ১৯টিই গিয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফের দখলে। সেই ফলাফলকে বিধানসভা কেন্দ্রের নিরিখে ভাঙলে শাসক বামজোট এগিয়ে ছিল মাত্র ১৬টি আসনে। কংগ্রেসের ‘লিড’ ছিল রাজ্যের মোট ১৪০ আসনের মধ্যে ১২৩টিতে।

আরও পড়ুন: জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেহ, ছত্তিশগড়ে মাওবাদী সংঘর্ষে মৃত ২২ জওয়ান, নিখোঁজ বেশ কয়েকজন

কিন্তু গত ডিসেম্বরে পুরসভা, পঞ্চায়েত-সহ স্থানীয় প্রশাসনের ভোটের ফলের নিরিখে বামেদের ‘লিড’ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ আসনে। ইউডিএফ এগিয়ে ৩৮টিতে এবং বাকি একটিতে বিজেপি।

এই আবহে কেরলের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছিলেন রাহুল গান্ধী নিজে।এবং এরজন্যই তিনি বামজোটকে আরএসএস-এর সঙ্গে এক আসনে বসাতেও দ্বিধাবোধ করেননি। প্রসঙ্গত, কেরলে বামেদের বিরুদ্ধে লড়লেও অসম, তামিলনাড়ু, বাংলায় বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই ভোটে লড়ছে কংগ্রেস। তবে কেরল যেন কংগ্রেসে কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। রাহুল গান্ধীর জন্য যেন অস্তিত্বের লড়াই।

বর্তমানে দেশে কংগ্রেস পাঁচটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। তার মধ্যে একক দল হিসেবে মাত্র তিনটি রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। এই আবহে কেরলে কংগ্রেসের জয় খুব প্রয়োজন। শুধুমাত্র কংগ্রেসের ভবিষ্যতের জন্য নয়, এই জয় দলের অন্দরে রাহুল গান্ধীর দর বাড়ানোর পক্ষেও প্রয়োজন। আর এই লক্ষ্যেই কেরলে বহু আগে থেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে প্রচার শুরু করেছিল কংগ্রেস। তাঁর পশ্চিমবঙ্গে একবারও না আসতে পারার নেপথ্যে রয়েছে কেরলে তাঁর ব্যস্ততা। আর এর ওপরই নির্ভর করছে দলের সভাপতি পদে রাহুল গান্ধীর পুনঃনির্বাচন।

ভোটপূর্ব সমীক্ষার ফলে লাল ঝড়ের ইঙ্গিত মিললেও কেরালাবাসী কার পক্ষে মত দেবেন তা জানা যাবে ২মে গণনার পর। কেরালা বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৭১।

আরও পড়ুন: তামিলনাড়ু: ভোট পড়ল প্রায় ৬৫ শতাংশ, টাকা বিলির অভিযোগ কমল হাসানের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest