অবশেষে কাল বাবরি মসজিদ মামলার রায়, নাও হাজিরা দিতে পারেন আডবানি-যোশীরা!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বুধবার বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় দেবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। প্রায় তিন দশক পুরনো ওই মামলায় রায়দানের সময়ে অভিযুক্ত ৩২ জনকেই আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক এস কে যাদব।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় উন্মত্ত রামভক্তদের হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন বাবরি মসজিদ। তার অভিঘাতে দেশ জুড়ে গোষ্ঠী হিংসায় নিহত হন ১,৮০০ জন। ২৮ বছর পর বুধবার মসজিদ ধ্বংসের মামলার রায় ঘোষণা করতে চলেছে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।

এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির মালিকানা মামলার নিষ্পত্তি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৯ নভেম্বর পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে সেখানে রামমন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বাবরি ভাঙার ঘটনাকে ‘আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন’ বলেও আখ্যা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন : রেকর্ড ৪৫০ গোল, রক্ষাকর্তা সেই রোনাল্ডো

বাবরি ধ্বংস মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন বিজেপির একঝাঁক নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তালিকায় রয়েছেন এল কে আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং, সতীশ প্রধানের নেতা। তবে আদালত নির্দেশ দিলেও আডবানি, যোশী ও উমা ভারতী আদালতে নাও যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

ওই মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া। জীবিত আছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতীরা। ৮৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩৪ জন মৃত। অনেকে নিখোঁজ।

গত ১ সেপ্টেম্বর ওই মামলার শুনানি শেষ হয়। বেশকিছু সাক্ষ্য ভিডিয়ো কন্ফারেন্সের মাধ্যমেও নেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত বাবরি ধ্বংস মামলায় ৩৫১ জনকে সাক্ষী করেছে সিবিআই। ৬০০ নথি জমা দেওয়া হয়েছে।  প্রাথমিকভাবে ৪৮ জনের বিরুদ্ধে মসজিদ ধ্বংসে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিবিআইয়ের মূল অভিযোগ, করসেবকদের সেদিন উস্কানি দিয়েছিলেন ওইসব নেতারা।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবা করতে এসে অযোধ্যায় পনের শতকের প্রাচীন ওই মসজিদটিকে ভেঙে ফেলে করসেবকরা। অভিযোগ ওঠে লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী-সহ তিন বিজেপি নেতার নেতৃত্বেই উত্তেজিত করা হয়েছিল করসেবকদের। শেষপর্যন্ত তারাই ভেঙে ফেলে মসজিদ। তবে মসজিদ ভাঙায় তাঁদের হাত থাকার কথা অস্বীকার করেন যোশী ও আদবানি।

আরও পড়ুন : মোদী সরকারের বিরোধিতার শাস্তি! ফ্রিজ অ্যাকাউন্ট,ভারত থেকে হাত গোটাল অ্যামনেস্টি

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest