কার্যত বিজেপি-র কাঁধে ভর দিয়ে সপ্তম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ কুমার। বলা চলে বিজেপির কাছে আত্মসমর্পন করেছেন নীতীশ। সবটাই তিনি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবার জন্য। সোমবার রাজভবনে নীতীশকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। এই নিয়ে টানা চতুর্থ বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিহারে। উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপি-র তারকিশোর প্রসাদ এবং রেণু দেবী। বিহারের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা বিধায়ক উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁকে বিজেপির চাপেই থাকতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আরও পড়ুন: নয়া বছরে বাড়ছে মোবাইল খরচ! ২০% বাড়তে চলেছে রিচার্জ প্ল্যানের দাম !
অনেকে টিপ্পনি কেটে বলেছেন কি ভাগ্গি, দুজন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেননি। বিজেপি চাইলে সেটাও হতে পারতো। নীতীশের কোনও উপায় থাকত না। বর্তমানে নীতীশ টিকে রয়েছেন বিজেপির করুনায়। কুমারস্বামীর কথা কি মনে পড়ে ? কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিল। তারপর তাঁকে নাকের জলে, চোখের জলে হতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সরকারটা টেকেনি।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আগেই বয়কটের ঘোষণা করেছিল আরজেডি। ফলে তেজস্বী যাদবের দলের কেউ নেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। অন্য দিকে জোট শরিক বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহ, জে পি নড্ডারা রয়েছেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
গতবার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন বিজেপির সুশীল মোদি। এবার তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।এবার বিহার নির্বাচনে নিজেদের শক্তি খুইয়েছে জেডিইউ। আসনের নিরিখে রাজ্যের তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে নীতীশের দল।
কোনও বিজেপি বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রী না হওয়াকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের কথায়, কার্যত ‘দয়া’ করে নীতীশকে এই পদে বসাচ্ছে বিজেপি ও শরিকরা।
আরও পড়ুন: ভিজে কাপড় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সফল বাঙালি বিজ্ঞানী, চার্জ হবে মোবাইল ফোন