আমেরিকার ভোট গণনার টানটান উত্তেজনা ফিরে এল বিহারে! দিনের শেষে তীরে তরী ভেড়াল শাসক এনডিএ। তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে সামান্য দূরে থেমে গেল বিরোধীদের মহাগঠবন্ধন।
২৪৩ আসনের ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিহারে ১২৫ আসনে জয়ী হয়েছে এনডিএ, ১১০ আসন পেয়েছে আরজেডি-জোট। আরও একবার পটনার কুর্সিতে বসতে চলেছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। ফের আরেকবার বিহারের একক বৃহত্তম দল লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। বিহারে কোনওক্রমে সরকার বাঁচিয়ে ফেলছেন নীতীশ কুমার।
এনডিএ-তে জেডিইউ-কে পিছনে ফেলে বড় শরিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। বস্তুত, দল-ভিত্তিক ফলের নিরিখে তিন নম্বরে চলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল। এক নম্বরে বিরোধী মহাগঠবন্ধনের প্রধান শরিক আরজেডি। অপ্রত্যাশিত ভাল ফল করেছে বাম দলগুলিও। কিন্তু কংগ্রেসের আসন গত বারের থেকে কমেছে। বিরোধী শিবিরের আফশোস, সনিয়া গাঁধীর দল একটু ভাল ফল করলেই ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হত।
আরও পড়ুন :৮ মাস পর দৌড়াল লোকাল ট্রেন, হাওড়ায় সেই চেনা ভিড়
বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে রাত পর্যন্ত মহাগঠবন্ধনের ঝুলিতে দেখানো হয়েছিল ১১২টি আসন। তখন আরজেডি-র দাবি করেছিল, তাদের জোট ১১৯টি আসন জিতেছে। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার জয়ের শংসাপত্র দিচ্ছেন না। আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝার অভিযোগ, কম ব্যবধানের আসনগুলিতে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে গণনায় কারচুপি করছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এত বড় অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও নীরব এনডিএ।
জোটের বিজয় কামনায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আজ বসেছিল হনুমান চালিশা পাঠের আসর। কথা ছিল রাতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ও-মুখো হননি। তবে টুইট করেছেন, ‘বিহারে প্রত্যেকটি ভোটার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে উন্নয়নই তাঁদের একমাত্র অগ্রাধিকার।’
জোটের বিজয় কামনায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আজ বসেছিল হনুমান চালিশা পাঠের আসর। কথা ছিল রাতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ও-মুখো হননি। তবে টুইট করেছেন, ‘বিহারে প্রত্যেকটি ভোটার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে উন্নয়নই তাঁদের একমাত্র অগ্রাধিকার।’
बिहार के युवा साथियों ने स्पष्ट कर दिया है कि यह नया दशक बिहार का होगा और आत्मनिर्भर बिहार उसका रोडमैप है। बिहार के युवाओं ने अपने सामर्थ्य और NDA के संकल्प पर भरोसा किया है। इस युवा ऊर्जा से अब NDA को पहले की अपेक्षा और अधिक परिश्रम करने का प्रोत्साहन मिला है।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 10, 2020
একে গণনায় দেরি, তার মধ্যে প্রতিপক্ষ শিবিরের পরস্পরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কারণে আজ নজিরবিহীন ভাবে চারটি সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট গোনার দাবি করা হলেও, রাতে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হন আরজেডি নেতৃত্ব। দলের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়, ১১৯টি আসনে জোটের প্রার্থীরা জিতে গিয়েছেন।
মনোজ ঝা বলেন, ‘‘ওই প্রার্থীদের রিটার্নিং অফিসার অভিনন্দন জানালেও তাদের জেতার শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। পরিবর্তে মৌখিক ভাবে বলা হচ্ছে আপনারা হেরে গিয়েছেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও ওই প্রার্থীদের জয়ী বলে দেখানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের কিছু পেটোয়া অফিসারের সাহায্যে জেলাশাসককে প্রভাবিত করে ভোটের ফল পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন।’’
আরও পড়ুন :দীর্ঘ বিরতির পর ছোট পর্দায় ফিরছেন শ্রীলেখা মিত্র, দেখা মিলবে মেগা সিরিয়ালে