দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ । রাজ্যের ২.৮৫ কোটি ভোটার আজ ভোট দিলেন। রাজ্যের ৯৪ আসনে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন ১৫০০ প্রার্থী। সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৫৩.৫১ শতাংশ। গত ২৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৫৫.৬৯। ২০১৫ সালের নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছিল ৫৬.৯ শতাংশ।
Polling percentage is at 53.51% as of now in the second phase of #BiharPolls: Election Commission pic.twitter.com/jQYkGoY91U
— ANI (@ANI) November 3, 2020
এই দফায় যেসব আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে তার বেশিরভাগেই বিজেপির আধিপত্ত রয়েছে। ভোট প্রচারে এসে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, বিহারের মানুষ ঠিকই করে ফেলেছে ফের এনডিএ ক্ষমতায় আসছে।
আরও পড়ুন : “কে বিমল গুরুং? ওটা ক্লোজড চ্যাপ্টার।” নবান্নে দিদির সামনেই বললেন বিনয় তামাংরা
লড়াইয়ের ময়দানে আজ ছিলেন মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব, লালুর অপর পুত্র তেজপ্রতাপ। তেজস্বী এবার বিজেপির সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন রাঘোপুর আসন থেকে। ২০১০ সালে এই আসন থেকেই লালুপত্নি রাবড়ি দেবীকে হারিয়েছিলেন সতীশ।
মোদীর প্রচার কি কোনও প্রভাব ফেলবে? তেজস্বী যাদব সংবাদমাধ্যমে আজ বলেন, আমার হারানোর কিছু নেই। ভালো ইস্যুতে লড়াই করছি। ভবিষ্যতে আরও চেষ্টা করব।
গত কয়েক দিন ধরেই বিহারের ভোটের হাওয়া বেশ উত্তপ্ত। কখনও তেজস্বী তো কখনও মোদী, কখনও আবার চিরাগ পাসোয়ান তাঁর বিরোধীকে নিশানা করছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্রমাগত আরজেডির শাসনকে জঙ্গলরাজ বলে কটাক্ষ করে চলেছেন। কখনও বলছেন উত্তরপ্রদেশের যুবরাজের যে দশা হয়েছে, বিহারের যুবরাজেরও সেই দশা হবে। চিরাগ পাসোয়ানতো নীতীশকে জেনারেল ডায়ার বলেও নিশানা করেছেন।
কোভিড পরিস্থিতিতে দেশে প্রথম ভোট হচ্ছে বিহারে। ভোটের সময় একঘণ্টা বেড়ে হয়েছে সকাল
সাতটা থেকে সন্ধে ছ-টা। দেড় হাজারের বদলে প্রতি বুথে থাকছে সর্বাধিক এক হাজার ভোটার। বুথে এলে সব ভোটারের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা, থাকছে স্যানিটাইজার। পরপর দুবার তাপমাত্রা বেশি হলে শেষ ঘণ্টায় ভোটদান।
আরও পড়ুন : বুধবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, সঙ্গে ফিরছে মধ্যাহ্নভোজ সেই পুরনো রাজনীতি