তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি, বিরোধীদের মমতার পাশে থাকতে বলল শিবসেনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি, তাই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকুন। শিবসেনার মুখপত্র সামনায় উঠে এল এমনই এক প্রস্তাব। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লেখা হয়েছে তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিরোধী শক্তিগুলোর উচিত এই সময়ে মমতার পাশে থাকা। এ ভাবেই ‘ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শক্তি গড়ার’ আহ্বান জানানো হল শিবসেনার মুখপত্রে।

জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও বিজেপির বিরুদ্ধে একক শক্তির জোট গড়ার ফর্মুলা দিয়েছে সামনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে সমস্ত শক্তিকে একসঙ্গে, একছাতার তলায় এসে শক্তিশালী ইউপিএ জোট তৈরি করতে হবে। আর সেই জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রশ্নে শরদ পওয়ার উপযুক্ত মুখ’।

আরও পড়ুন: আজ মরশুমের শীতলতম দিন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.২, বর্ষশেষে বাংলায় থাকবে শীতের কামড়

সামনায় লেখা হয়েছে, ‘বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষ দেওয়ার বদলে বিরোধীদের উচিত নিজেদের দিকে নজর দেওয়া। বিরোধী নেতৃত্বের একটি সার্বিক মুখ তৈরি হওয়া দরকার। রাহুল গান্ধী একক ভাবে লড়াই করছেন। কিন্তু ইউপিএ জোটের মধ্যে থাকা অন্য দলগুলো কৃষকদের পক্ষে চলা সেই প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না’।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এই বিচ্ছিন্ন মানসিকতা শাহ-মোদীদের বাড়তি শক্তি দিচ্ছে। তারা ধরেই নিয়েছে, বিরোধীরা একজোট হতে পারবে না। সামান্য স্বার্থের কারণে তারা পৃথক হয়ে যাবে। বিরোধী দলের নেতাদের পদ্মের ছায়ায় কীভাবে আনতে হয় তা অমিত শাহ ভালো জানেন। কেউ কেউ বলেন উনি আসলে ওটাই জানেন। বিরোধী দলের বহু নেতা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভয়ে কিংবা বিজেপির প্রলোভনে শাহের হাত থেকে পতাকা তুলে নিচ্ছেন। এটাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

মিডিয়ার একটা বড় অংশ কেবল শাহ-মোদির কথা শোনাতেই ব্যস্ত। ফলে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মূল্যবোধের দরকার। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা যে ধোওয়া তুলসী পাতা হবেন না, তা জানা কথা। কিন্তু যে দলে তাঁরা রয়েছেন, সেই দলের প্রতি তাদের আনুগত্যটা যেন প্রলোভনে নষ্ট হয়ে না যায়। একটি দলের টিকিটে জিতে ভোটারদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অন্য দলে পা দেওয়াকে বিশ্বাস ঘাতকতা বলে। অবশ্য দেশের শাসক দল সেটাকে চাণক্য নীতি নামে প্রচার করে।

আরও পড়ুন: আসছে ভোট, জাগছে সারদা মামলা :রাজীব কুমারকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest