লাদাখে প্রথম ভোটে একরকম কোণঠাসাই হতে হল বিজেপিকে। লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভলপমেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা আর পেলো না বিজেপি, কমল আসন সংখ্যাও। এক বছর আগেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয় ৩৭০ ধারা, প্রতিবাদে এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি ন্যশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি। লড়াই হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে তা সত্বেও বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ না পাওয়া উপত্যকার রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হিল ডেভালপমেন্টের মোট ২৬ টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা, হারিয়েছে ৫টি আসন। কংগ্রেস জয় পেয়েছে ৯টি আসনে, আগের বারের তুলনায় ৩টি আসন বেশি। বাকি দুটিতে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। পরাজিত হয়েছেন গতবারের চিফ এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলর গয়াল পি ওয়াঙ্গিয়ালও, বিজেপির প্রার্থী ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্য সবেতনে ছুটি পাবেন ‘সিঙ্গেল পেরেন্ট’ বাবাও
লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভালপমেন্ট নির্বাচন এবার পাখির চোখ ছিল বিজেপির। স্লোগান উঠেছিল, ‘আবকি বার ছাব্বিশ পার’। মুখতার আব্বাস নাকভি, জি কিষাণ রেড্ডি, অনুরাগ ঠাকুর-সহ প্রায় হাফডজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রচার চালিয়েছিলেন। উপত্যকায় গিয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন মন্ত্রী ও দলের হেভিওয়েট নেতারা। এই ভোট প্রকৃতপক্ষে সম্মান রক্ষার লড়াই ছিল গেরুয়া শিবিরের।
নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর থেকেই উপত্যকার কোনও বিজেপি নেতাই ফোন ধরছেন না। এ বিষয়ে কথা বলছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কারণেই এই বিপর্যয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসে প্রথম ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল বা বিডিসি ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি। ৩১৬টি ব্লকের মধ্যে ২১৭টিতে জয়ী হয়েছিল নির্দল প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: প্রেম প্রত্যাখানের জের, দিনের আলোয় তরুণীকে গুলি, ক্যামেরাবন্দি নৃশংস খুন