Site icon The News Nest

শেষ পর্যন্ত হার মানল ঘোড়া বেচাকেনার রাজনীতি, রাজস্থান নিয়ে খোঁচা অধীরের

adhir ranjan

ঘোড়া কেনাবেচার খেলায় বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। মন্তব্য লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর । সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর বলেন, ‘‘রাজস্থান পর্ব বিজেপির সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা ভেঙে দিয়েছে। ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতিতে বিজেপিকে হারানো গিয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘দলের বিধায়করা যদি কংগ্রেসে যোগ দেন, সেই ভয়ে সকলকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। গোটা ব্যাপারটা দারুণ উপভোগ করেছি। বিজেপিকে যে বিজেপির চালেই হারানো সম্ভব, রাজস্থান তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।’’

আরও পড়ুন : অমানবিক কলকাতা! শ্যামবাজারের ফুটপাথে দুদিন পড়ে রইলেন অসুস্থ বৃদ্ধ

অধীরের দাবির পুরো কৃতিত্ব রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের। তাঁর কথায়, ‘‘অশোক গেহলটের রাজনৈতিক বিচারবুদ্ধির সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি বিজেপি। তাই পিছু হটতে হয় ওদের।

সচিন পাইলট রাজস্থানে ফিরে যাওয়ায় খুব খুশি আমি। এতেই বোঝা যায়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব। সচিন পাইলটের মতো নেতারাই দলের ভবিষ্যৎ।’’রাহুল গাঁধীর মধ্যস্থতাতেই রাজস্থানে অচলাবস্থা কাটানো গিয়েছে বলে দলের একটি অংশের দাবি। তাঁদের মতে, সঙ্কটকালে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নিজের রাজনৈতিক দক্ষতাই প্রমাণ করেছেন রাহুল।

অধীরের মতে, ‘‘নেতা হিসেবে তিনি কতটা দক্ষ, তা প্রমাণ করার প্রয়োজনই নেই রাহুল গাঁধীর। বিজেপির মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে ২০১৮ সালে কর্নাটকে সরকার গঠনের সময়ই তার প্রমাণ দিয়েছিলেন তিনি। কিছু লোক বিশ্বাসঘাতকতা করলেন বলেই ২০১৯-এ সেখানে বিজেপির কাছে হারতে হয় আমাদের।’’ রাজস্থানে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে জানান তিনি।

অনেকের ধারণা কংগ্রেসে আরও কয়েকজন অধীরের মত নেতা জরুরী। যাঁরা রাজনীতিতে যেমন বুঝবেন, তেমনি তাদের সঙ্গে থাকতে হবে মাটির যোগ। আজকাল উপর থেকে রাজনীতির দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। কেবল মিডিয়ার নেতা হলে চলবে না। তাতে মানুষের ভরসা ষোলো আনা পাওয়া যায় না। আজকের দিনে মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া খুবই জরুরি। কিন্তু সবথেকে জরুরি মানুষের সঙ্গে সংযোগ। যা অধীরের নিজের হাতে তৈরী করা সম্পদ।

আরও পড়ুন : খুশির খবর নবাব বাড়িতে! দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন করিনা, দাদা হতে চলেছে তৈমুর

 

Exit mobile version