‌‘‌এবার হয়তো বলবে গুজরাট দাঙ্গার দায়ও নেহেরুর’, দিল্লি হিংসার চার্জশিট মহুয়ার তোপ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দিল্লি হিংসার (Delhi Violence) ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা চার্জশিটে নাম নেই কপিল মিশ্রদের (Kapil Mishra)। অথচ রয়েছে CPIM-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury), স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদবের (Yogendra Yadav) নাম। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাঁদের ‘টার্গেট’ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মুখ খুলে কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra)। তাঁর দাবি, BJP এবার হয়তো ইতিহাস পালটে ফেলবে। দেখা যাবে গুজরাট (Gujrat) হিংসার জন্যও কোনওদিন নেহরুকে দায়ী করে বসবে।

রাতে দিল্লি পুলিশ বিবৃতি দিয়ে বলে, ‘‘নিয়ম মেনেই ছাত্রীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। নিয়ম মেনেই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম থাকা মানেই কাউকে ‘অভিযুক্ত’ বলা নয়। তবে পরে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পেলে এঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

শনিবার রাতে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মহুয়া লেখেন, ‘‌‘দিল্লি হিংসার ঘটনায় পেশ করা চার্জশিটে কপিল মিশ্রর নাম নেই। অথচ ইয়েচুরি এবং যোগেন্দ্র যাদবের নাম র‌য়েছে। আমার মনে হয়, এরপর বিজেপি হয়তো নতুন করে ইতিহাস লিখবে। আর সেখানে গুজরাট দাঙ্গার জন্য নেহরুকে দায়ী করা হবে।‌’‌’‌

ই প্রসঙ্গে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিরও বক্তব্যও একই। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “সরকার বিরোধী যে কোনও মতকে দমন করতে গুজরাট মডেলকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০১৪ সাল থেকে শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বুদ্ধিজীবীদের কণ্ঠস্বর কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। এখন বিরোধী দলের নেতাদের গায়েও দাঙ্গাকারীর তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “এটা নৃশংসতার চেয়েও খারাপ। আমি তাঁদের পাশে আছি। তাঁরা ক্ষমতায় থাকা জালিয়াতদের চেয়ে বড় দেশভক্ত।”

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “সরকার বিরোধী যে কোনও মতকে দমন করতে গুজরাত মডেলকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০১৬ সাল থেকে শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বুদ্ধিজীবীদের কণ্ঠস্বর কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। এখন বিরোধী দলের নেতাদের গায়েও দাঙ্গাকারীর তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “যাঁদের চার্জশিটে নাম রয়েছে, তাঁদের পাশে রয়েছি। এখন যে সব প্রতারকেরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁদের থেকে এঁরা অনেক বেশি দেশভক্ত।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest