বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বোমাতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়ায় তাজমহলে। আর পাঁচটা দিনের মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভিড় করেছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু তারপরই অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে পুলিশকে জানান, তাজমহলে বোমা রাখা রয়েছে। খবর পাওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় তাজমহল। বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত দরজা। এলাকা খালি করার কাজ করতে শুরু করে পুলিশ। কিন্তু পরে দেখা যায়, আতঙ্ক তৈরি করতে ফোন করেছিলেন এক যুবক। তিনি ফিরোজাবাদের বাসিন্দা। পুলিশ ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জানতে পারে, সেনাবাহিনীতে কাজ না পাওয়ার ক্ষোভ থেকেই তিনি ফোনটি করেছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ফোন পাওয়ার পর সাড়ে সাতটা নাগাদ তাজমহলে পৌঁছে যান বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা। তারপর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়। সিআইএসএফ ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালান। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে মনে করা হয়েছিল, আলিগড় থেকে ফোন আসছে, পরে পুলিশ ফিরোজাবাদের ফোন নম্বরটি খুঁজে পায়। সমাধান হতেই বেলা ১১.১৫ মিনিট নাগাদ ফের তাজমহলের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলার বাঘিনী মমতার পাশে দাঁড়ান, বার্তা দিয়ে বঙ্গ ভোটে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত উদ্ভবের
দীর্ঘ ছ’মাস বন্ধ থাকার পর গত বছর সেপ্টেম্বরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় তাজমহল। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল তাজমহলের দরজা। তবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনেই এখনও তাজমহল দর্শন করতে হচ্ছে পর্যটকদের। দূরত্ববিধি বজায় রাখার পাশাপাশি আগত পর্যটক হাত স্যানিটাইজ করার দিকেও জোর দেওয়া কথা জানিয়েছিলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (আগ্রা সার্কেল)-এর সুপারিন্টেডেন্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ বসন্তকুমার স্বর্ণকার। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তাজমহলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। পর্যটকদের অনলাইনে টিকিট কাটতে হবে।’’
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন মাত্র পাঁচ হাজার পর্যটককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। দুপুর ২টোর আগে যেতে পারেন আড়াই হাজার এবং ২টোর পর থেকে বাকি সময় আরও আড়াই হাজার পর্যটককে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে উঠল হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে রাজ্য সরকার