কৃষি আইনে মানুষের উপকার হবে, কেন্দ্রের ‘স্ক্রিপ্ট’ বিরোধীশূন্য সংসদে পড়লেন রাষ্ট্রপতি

প্রায় বিরোধীশূন্য সংসদে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আন্দোলনের নিন্দা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষি আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনে উত্তপ্ত রাজধানীর পরিস্থিতি। তার মধ্যেই সংসদে শুরু বাজেট অধিবেশন। সংসদের যৌথ অধিবেশনে কৃষি আইনের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

বাজেট অধিবেশনের সূচনায় সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে থাকল কৃষি আইন এবং কৃষকদের জন্য মোদী সরকার কী কী করেছে, তার প্রশস্তি। বলতে গেলে বিরোধীশূন্য সংসদে নিন্দা করলেন প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আন্দোলনের।

সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ জুড়ে কৃষি আইন প্রসঙ্গ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই কৃষি আইন আপাতত স্থগিত রেখে বিভ্রান্তি কাটাবে সরকার বলে সংসদের ভাষণে জানালেন রাষ্ট্রপতি। একইসঙ্গে লালকেল্লায় কৃষকদের আচরণেরও নিন্দা করেন কোবিন্দ।

আরও পড়ুন: জেনারেল বেডে দেওয়া হচ্ছে সৌরভকে, ছুটি পেতে পারেন দু’এক দিনেই

কোবিন্দ বলেন, ‘কৃষকদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যেই আমার সরকার কাজ করছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক।’ অনেকে বলেছেন, মোদী জমানার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এটাই। যাদের ভালো করার কথা তাঁরা ভাবেন, তাদের কথা শোনার প্রয়োজন মনে করেন না। কেবল মোদী ও তাঁর কিছু সাঙ্গপাঙ্গ যা ঠিক করবেন, তাকেই দেশের কল্যাণ বলে চাইল্যে দেওয়া হবে। জাতীয় পটকার সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলে সে ছবি দেখতে ভালো লাগে বটে, কিন্তু তাতে ব্যাক্তি ও দেশ সমর্থক হয়ে যায় না। অথচ সচেতনভাবে সে চেষ্টা চলছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় যে তাণ্ডব চলেছে সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘লালকেল্লায় ওইদিন যা ঘটেছে তা তীব্রভাবে নিন্দনীয়। কৃষক আন্দোলনের নামে চলেছে তাণ্ডব। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনই অপমানিত আমাদের জাতীয় পতাকা। সংবিধান আমাদের স্বাধীনতার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন মানতেও শিখিয়েছে।’

কেন্দ্রের লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়তে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন , ‘এই সরকারের তৈরি কৃষি আইন ঐতিহাসিক। দেশের প্রান্তিক কৃষকদের কথা ভেবেই নতুন তিনটি কৃষি আইন এনেছে সরকার। দেশের ৮০ শতাংশ কৃষকই বিশেষ কোনও সুযোগ সুবিধা পান না। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হলে দেশের এই প্রান্তিক ও ছোট কৃষকদের উপর নজর দিতে হবে। কৃষকদের সর্বোচ্চ MSP ব্যবস্থা করেছে এই সরকারই। MSP-এর ক্ষেত্রে এবছর রেকর্ড গড়েছে আমাদের দেশ। সরকারের আনা এই তিন কৃষি আইন দেশে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। একইসঙ্গে কৃষকদের হাতে আসবে অনেক নতুন অধিকার। এই আইন পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১০ কোটি কৃষক এর সুফল পেতে শুরু করেন।’

২০২০ সাল প্রায় পুরো বছরই করোনার প্রকোপ ছিল দেশে। রাষ্ট্রপতি মনে করেন, সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে দেশে করোনার সংক্রমণ রুখে দিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অর্থনীতি। তাঁর কথায়, ‘‘করোনাকালে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র শিল্পে আর্থিক প্যাকেজ, গরিবকল্যাণ যোজনার মতো একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সারা বিশ্বকে পথ দেখিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে ভারত সরকার। করোনার টিকাদান কর্মসূচিও সফল ভাবে চলছে দেশে।’’

বছরভর নিজের ‘মন কি বাত’ শোনান প্রধানমন্ত্রী। রেডিওতে সে কথা কারা শোনে জানা নেই। মোদীর সেই বাণী সংবাদ হিসাবে পরিবেশন না করলে তা কেউ জানতে পারতো না। এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণকে অনেকে মনে করছে মন কি বাতের বৃহৎ সংকলন। তবে এটা নয়া নয়। বিধানসভার স্পিকাররা এবং রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালেরা এইভাবেই লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়ে আসছেন।

আরও পড়ুন: Most Handsome Man! কিং খানের নতুন ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত ভক্তকূল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest