ভোটের আগে CAA চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই, লোকসভায় স্পষ্ট জবাব কেন্দ্রের

চেতন ভগত, গেরুয়া শিবিরের কাছের লোক হয়েও জানিয়েছেন, এনআরসি আইন আনা হচ্ছে মুসলিমদের বিপাকে ফেলার জন্যই।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ করছে কেন্দ্র। ২০১৯ সালে পাশ হওয়া নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিধি প্রণয়ন এবং তা কার্যকরের জন্য কেন্দ্রকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছে রাজ্যসভা এবং লোকসভার কমিটি। মঙ্গলবার সংসদে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সিএএ-র নির্দেশিকা জারি করা হয়। এর পরের বছরের ১০ জানুয়ারি তা বলবৎ করা হয়েছিল। তবে দেশজোড়া বিক্ষোভের মাঝে এ নিয়ে নিয়মনীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া তথা বাস্তবায়ন করা থেকে কার্যত পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির তরফে চলতি বছরের এপ্রিল এবং জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতন নিয়ে পরপর বিতর্কিত রায়, সুপ্রিম কোপে বম্বে হাইকোর্টের সেই বিচারপতি

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পর এই আইন নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। সিএএ-বিরোধী তথা এই আইন নিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি, এতে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য বা ভেদাভেদ করা হয়েছে, যা ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবনার পরিপন্থী।

সিএএ-র পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনপিআর) নিয়েও দেশের নাগরিক সমাজ-সহ বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে মোদী সরকার। পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বহু রাজ্যেই এই আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে।তাদের মতে, এই সিএএ এবং এনপিআর বলবৎ হলে নাগরিকত্বের প্রশ্নে দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় অংশকে নিশানা করা সহজ হবে। যদিও বিরোধী বা সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের এই যুক্তি মানতে বিজেপি সরকার। বিজেপি-র দাবি, সিএএ বলবৎ হলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত অথবা কোনও ভারতীয় নাগরিকই নাগরিকত্ব হারাবেন না।

যদিও তাঁদের এই কথা মানুষ বিশ্বাস করতে রাজি নয়। লেখক চেতন ভগত, গেরুয়া শিবিরের কাছের লোক বলেই পরিচিত। সম্প্রতি তিনি নিজের ‘ দি ওয়ার’ -এ একটি লেখায় এই আইন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি কট্টর হিন্দুত্ববাদী হয়েও জানিয়েছেন, এনআরসি আইন আনা হচ্ছে মুসলিমদের বিপাকে ফেলার জন্যই। অতি অবশ্য এই আইন বাতিল করে দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে Chakka Jam-এর ডাক, অন্নদাতাদের ঠেকাতে সিঙ্ঘু সীমানায় পেরেক-কাঁটাতারের বেড়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest