গত বছরই লোকসভায় বিলটি পেশ করা হয়েছিল। তারপর তা শ্রম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। আলোচনার জন্য শ্রম মন্ত্রকের তরফে বিলের যে খসড়া প্রকাশ করেছিল, তাতেও নয়া নিয়ম ছিল। কিন্তু বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের বিরোধিতার মুখে নিয়মটি ২০১৯ সালের বিলে রাখা হয়নি।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে আবার সরকারের অনুমতি ছাড়াই ৩০০-র কম সংখ্যক কর্মী বিশিষ্ট সংস্থাগুলির খরচ কমানোর জন্য ছাঁটাই বা সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। একটি রিপোর্টে কমিটি জানিয়েছিল, ইতিমধ্যে কর্মী সংখ্যার সেই সীমা বাড়িয়ে ৩০০ করেছে রাজস্থানের মতো রাজ্য। তার ফলে কর্মসংস্থান বেড়েছে এবং ছাঁটাইয়ের সংখ্যা কমেছে বলে দাবি করেছে শ্রম মন্ত্রক।
আরও পড়ুন : আত্মনির্ভর ভারত! সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের পথে ভারত পেট্রোলিয়াম, গ্যাসে ভরতুকি মিলবে তো?
লোকসভায় পেশের পর নয়া বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর দাবি করেন, কর্মীদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
এরপরেও কী ভক্তরা স্লোগান দিবেন ‘হরহর মোদী ঘর ঘর মোদী।’ বলা যায় না। খেয়াল করলে দেখবেন মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই। কিন্তু ট্রাম্পের সমস্যা হল তিনি ভক্ত পাননি। ফলে আগামী ভোটে তিনি আর তেমন নিশ্চিত থাকতে পারছেন না। ক্ষমতায় আসার আগে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বয়ানবাজি করে তিনিও ‘বন্ধু’ মোদির মত রাজনীতি করেছিলেন। কিন্তু সেসব ফ্লপ। কারণ দেশটা আমেরিক।
মোদির দেশ ভারত। এখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চীনকে নাম না করে হুমকি দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যা। দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ। একেই কাজ নেই। তাতে আবার কাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। সরকারি কোম্পানি বেসরকারি হচ্ছে। কদিন আগে যিনি বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে বিঁধতেন, তিনি এখন সরকারি সংস্তাহ বেচে বাহবা কুড়োতে চাইছেন। দেশটা ভার। এখানে ভোট আগে বিদ্বেষ চড়িয়ে কুর্সিতে থাকা কঠিন নয়।
আরও পড়ুন : আত্মনির্ভর ভারত! সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের পথে ভারত পেট্রোলিয়াম, গ্যাসে ভরতুকি মিলবে তো?