শেষে দিদির কথাই মানতে হল , GST বকেয়া মেটাতে অবশেষে ঋণ নিচ্ছে কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শেষ পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথাই মানতে হল কেন্দ্রকে। মাঝখানে খামোখা জলঘোলা করল কেন্দ্র।জিএসটি (GST) নিয়ে অবশেষে মিটতে চলেছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে মোটা অঙ্কের টাকা ধার করছে কেন্দ্র। সেই টাকা আবার রাজ্যগুলিকে ঋণ হিসেবে দেবে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পরোক্ষে বাংলা-সহ একাধিক বিরোধী রাজ্যের দাবিই মেনে নিল কেন্দ্র সরকার।

কেন্দ্রের দাবি ছিল, লকডাউনের জেরে জিএসটি থেকে আয় কমেছে। কেন্দ্রেরও যথেষ্ট আয় হয়নি। তাই কেন্দ্রের পক্ষে রাজ্যেগুলির ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব নয়। বরং রাজ্যগুলি ধার করে নিজেদের এই ক্ষতি পূরণ করুক। বিজেপি শাসিত ২১টি রাজ্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের প্রস্তাব মেনেও নিয়েছিল।

আরও পড়ুন : কথা বলেছেন, শুনছেন রবীন্দ্র সঙ্গীত, ক্রমশ সুস্থতার পথে করোনামুক্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

তবে শোনা গিয়েছিল প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না পারলেও তারাও বিরক্ত। বাংলা, কেরল, ছত্তিশগড়-সহ একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্য কেন্দ্রের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। বরং তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, তাঁরা ১.১ লক্ষ কোটি টাকা ধার করছে। যা রাজ্যগুলির ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। সব রাজ্য এই প্রস্তাবে রাজি হবে ধরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তাঁদের যুক্তি, কেন্দ্রের কোষাগার থেকে রাজ্যগুলির বকেয়া মেটাতে হল এই ঘাটতি অনেকটাই বাড়ত। কিন্তু ঋণ নেওয়া হলে কেন্দ্রের রাজকোষে ঘাটতি বাড়ছে না। তাঁরা আরও জানিয়েছে, রাজ্যের ক্ষেত্রে মূলধনী আয়ে এই কেন্দ্রীয় ঋণের টাকা দেখানো হবে। তবে তাতেও রাজ্যের দেনার দায় বাড়বে না।

এই ধারের সুদ বা আসল কোনওটাই তাদের পরিশোধ করতে হবে না। বরং ২০২২-এর জুলাইয়ের পরেও জিএসটি সেস বসিয়ে তা শোধ হবে। উল্লেখ্য, এক-একটি রাজ্য ঋণ নিতে গেলে এক-একরকম সুদ দিতে হত। কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা নেই। তবে রাজ্যগুলি এই প্রস্তাবে রাজি হয় কি না, তা এখন দেখার।

কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও। টুইটার তিনি লিখেছেন, “কেন্দ্র ১.১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা রাজ্যগুলিকে ধার হিসেবে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করছি।”

আরও পড়ুন : দীর্ঘ ১০ মাস চেষ্টার পর উঠল বাঘের গাছকে আলিঙ্গনের ছবি! জিতে নিলে বিশ্ব সেরা পুরস্কার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest