The News Nest: লাদাখ সীমান্তে ভারতের ২০ জন সেনা শহীদ হওয়ার পর দেশজুড়ে আওয়াজ উঠেছে চিনা পণ্য বয়কটের। এই পরিস্থিতিতে চিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে দেশের শিল্প মহলের কাছে চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের তালিকা চাইল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই তালিকা চাওয়ার পাশাপাশি ওই দ্রব্যগুলো ভারতে তৈরি হলে তার দাম কত হবে এবং সেগুলি উৎপাদন করার ক্ষেত্রে কী কী অসুবিধা রয়েছে সেটাও শিল্পমহলের কাছে জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের মতে চিনের কাছ থেকে আমদানি না করে ওই দ্রব্য ভারতে তৈরি করা হলে প্রথমত বহু নিম্নমানের পণ্যের আমদানি কমানো যাবে, তাছাড়া দেশে উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণও বাড়বে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের নবম এবং এশিয়ার এক নম্বর ধনী মুকেশ আম্বানি, তাঁর বাড়ি-গাড়ির দাম শুনলে পিলে চমকে যাবে
পাশাপাশি পণ্যের ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতাও অনেক কমবে। লাদাখ সংঘাতের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে পর কিভাবে চিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়।
চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে প্লাস্টিকের খেলনা, মোবাইল ফোন, ওষুধের কাঁচামালের ওপর ভারত বেশি নির্ভর করে। এদিকে যেসব দ্রব্য চিন থেকে শিল্প মহলে ভারত আমদানি করে সেগুলির মধ্যে রয়েছে দেওয়াল ঘড়ি, ইঞ্জেকশনের অ্যাম্পুল, কাচের রড এবং টিউব, হেয়ার ক্রিম, শ্যাম্পু, ফেস পাউডার, চোখ এবং ঠোঁটের মেক আপের জিনিস, প্রিন্টিং কালি, রং, তামাকজাত পণ্য। এই সব পণ্যগুলির বিষয়ে ইতিমধ্যেই তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে দিয়েছে শিল্পমহল এবং খুব শীঘ্রই সেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে ভারত চিন সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ায় ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। চিনা পণ্য বয়কটের জন্য এই সংগঠন ৫০০টি চিনা পণ্যের তালিকাও বানিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এর কাছে ওই তালিকা দিয়ে বয়কট এর প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সুশান্তের নাম না-করে ভালোবাসার পোস্ট রতন টাটার, মন ভিজিয়ে দিল নেটবাসীদের