সরকারি হোটেল বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগ। ১৮ বছরের পুরনো মামলায় নতুন করে বিপাকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি (Arun Shourie)। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হওয়া উচিত। মত সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের।
ঘটনাটি ২০০২ সালের। সেসময় বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার বিনিয়োগ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন অরুণ শৌরি। সেসময় তাঁর বিরুদ্ধে জলের দরে একটি বিলাসবহুল হোটেল বিক্রির অভিযোগ ওঠে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজস্থানের উদয়নগরের লক্ষ্মী বিলাস প্যালেস হোটেলটির দাম কমবেশি ২৫২ কোটি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শৌরির দপ্তর তা বিক্রি করে মাত্র সাড়ে সাত কোটি টাকায়। এত দামি হোটেল এত সস্তায় বিক্রি হল কেন? নেপথ্যে দুর্নীতির গন্ধ পায় বিরোধীরা। শৌরির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি ওঠে। শেষপর্যন্ত এই হোটেল বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআইকে।
আরও পড়ুন: ফ্যাশন দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন, শৌচাগারে মিলল বিশ্বখ্যাত ডিজাইনারের শর্বরী দত্তের দেহ
১৭ বছর তদন্তের পরও সিবিআই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি। যার ফলে গতবছর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই মামলার তদন্ত বন্ধের আরজি জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালত সেই আরজি খারিজ করে দিয়েছে।
সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতের বিচারক বলছেন, “এই হোটেল বিক্রিতে সরকারের প্রচুর লোকসান হয়েছে। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত কোনও না কোনও সরকারি আধিকারিক দুর্নীতিতে যুক্ত। এই হোটেলটির প্রতি স্কয়্যার ফুটে মাত্র ৪৫ টাকা দাম ধার্য করা হয়েছিল। এই বিলাসবহুল হোটেলের একটি চামচও হয়তো এর থেকে দামি।” সিবিআইয়ের ওই বিশেষ আদালত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এবং সেসময়ের দুই সরকারি আমলার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে।
অরুণ শৌরি বর্তমানে প্রবল মোদি (Narendra Modi) বিরোধী। কেন্দ্রের বহু নীতির সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, যে সব অভিযোগে তাঁকে বিদ্ধ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। এবং নিয়ম মেনেই ওই লক্ষ্মী বিলাস প্যালেস বিক্রি করেছিলেন তিনি। এতে কোনও বেনিয়ম হয়নি। এই রায়ের বিরোধিতা করে রাজস্থান হাই কোর্টে আবেদন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেড় দিন পর ঝোপে মিলল বর্ধমানের তৃণমূল নেতার অপহৃত ছেলের দেহ, গ্রেপ্তার ৩