প্যাংগংয়ে তুমুল উত্তেজনা, মুখোমুখি ভারত-চীন বাহিনী, দিল্লিতে বৈঠকে রাজনাথ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গত শনিবার রাত থেকে প্যাঙ্গং হ্রদের দক্ষিণের উঁচু পাহাড়ি এলাকাতেও ঢুকে পড়ে পিপলস লিবারেশন আর্মি। দু’তরফে সংঘাতের খবরও সামনে আসে। সূত্রের খবর, প্যাঙ্গং লেক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এখন পুরোপুরি দখল নিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে লাল ফৌজ।

চিন এখন নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে ‘সমঝোতা ভেঙে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা’ (এলএসি) লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে! প্যাংগং লেকের দক্ষিণে চিনা বাহিনীকে হটিয়ে ‘অবস্থান’ মজবুত করার পরে ভারতীয় সেনা আলোচনার টেবিলে দর কষাকষিতে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গিয়েছে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

প্যাংগং পরিস্থিতি পর্যালোচানার জন্য মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এম এম নরভণে বৈঠকে হাজির ছিলেন।

আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মৃত্যু হল আরও ১ চিকিৎসকের

মঙ্গলবার নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, ‘‘চিনে সেনা সংযত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আমরা চাই, ভারতীয় সেনা উস্কানিমূলক আচরণ বন্ধ করুক এবং বৈঠকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুক। ভারতীয় সেনা এলএসি লঙ্ঘন করার ফলেই এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।’’

চিনের বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই একটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত বিদেশনীতি সংক্রান্ত আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করা হবে না।”

২৯ অগস্ট রাতে সমঝোতা সূত্র ভেঙে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ভারতীয় এলাকায় ঢুকতে গিয়ে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে পিছু হটে লাল ফৌজ। সেই সুযোগে, চুশুল থেকে কয়েকটি দিকে চিন নিয়ন্ত্রিত এলাকার অন্দরে বেশ কয়েক কিলোমিটার ঢুকে পড়েছে ভারতীয় সেনা। কালা টপের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ‘স্ট্র্যাটেজিক পজিশন’-সহ বেশ কিছু উঁচু গিরিশিরা এখন ভারতীয় সেনার দখলে। ফলে সুবিধাজনক অবস্থান থেকে সম্ভাব্য চিনা হামলার মোকাবিলা করা সম্ভব। আর সে কারণে চিন্তা বেড়েছে চিনের।

pangng

প্রশ্ন উঠছে তাহলে ‘দোলনা নীতি’ কি আগাগোড়াই ফ্লপ? লাগাতার প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের কোনও লাভ কী আদৌ হয়েছে? কাঠমান্ডু যখন নয়াদিল্লির দিকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলার সাহস করে, তখন আর বলার কিছু থাকে না। এতদিন পর্যন্ত মোদী সরকার পাকিস্তানের বাপান্ত করে দায়িত্ব শেষ করত। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক যে এমন জায়গায় পৌঁছবে তা আন্দাজ করেনি কেউ। এটাই যদি হবে তবে জনগনের কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর নিয়মিত উড়ানের দরকার কি ছিল? তা কি নিছকই ভ্রমন? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

কেউ কেউ বলছেন দেশের মিডিয়া চিয়ার লেডির ভূমিকায় অবতীর্ণ না হলেই দেশের কল্যাণ হত। মিডিয়া রাজনীতি, বিদেশনীতি এবং সরকারের ভূমিকাকে একই চোখে দেখতে চাইছে। কেবল ‘ভারত মাতা কি জয়’ কিংবা জয় শ্রীরাম বলে সব সমস্যার সমাধান হয় না। এটা বিজেপি বুঝুক না বুঝুক সরকারকে বুঝতে হবে। তা নাহলে অযথা হাঙ্গমা হবে। জনগনের আবেগ সুড়সুড়ি দিয়ে মোদী বাবু সমর্থনও আদায় করে নেবেন। কিন্তু তারপর যে আর্থিক সংকট তৈরী হবে তা আর সামাল দেওয়া মুশকিল হবে। এমনটিতেই আর্থিক অবস্থা সঙ্গিন। মানুষ রুজি-রুটি হারাচ্ছে। এইভাবে চললে আগামীতে খাবারেও টান পরে যাবে। সেটা বুজতে হবে কেন্দ্রকে।মনে করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন : ফের করোনা হানা টেলি পাড়ায়, কোভিড-১৯ পজিটিভ সায়ক চক্রবর্তী ও সৌমিলি ঘোষ বিশ্বাস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest