এবার কি প্রত্যাঘাত? সীমান্তে শুরু ‘এয়ার ডমিন্যান্স’? লাদাখে উড়ছে অ্যাপাশে-চিনুক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: আবার এয়ারস্ট্রাইকের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা! লাদাখে উত্তেজনার মধ্যেই গালওয়ান উপত্যকায় এবার যুদ্ধবিমান নামাতে শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তাহলে কি দিল্লি থেকে প্রত্যাঘাত করার সবুজ সংকেত এসে গিয়েছে? দুদিনের সফরে গিয়ে লেহ ও শ্রীনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি ঘুরে দেখেছেন বায়ুসেনা প্রধান কে এস ভাদুরিয়া।

প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেছেন তিনি। এরপরই শুরু হয়েছে বায়ুসেনার এই তৎপরতা। লাদাখের আকাশে শুরু হয়েছে বায়ুসেনার এয়ার ডমিন্যান্স। সকাল থেকেই চক্কর কাটছে বায়ুসেনার কপ্টার অ্যাপাচে-চিনুক।

আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবস্থার অবনতি, হতে পারে প্লাজমা থেরাপি

তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের ভিত্তিতে সীমান্তে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ কয়েক দিন আগেই দিয়েছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়ত। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার সকাল থেকে সীমান্তের আকাশে এই ছবি দেখা যেতে শুরু করেছে বলে বাহিনী সূত্রে জানা যাচ্ছে।

পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই ওই এলাকায় আরও বেশি বাহিনী, সরঞ্জাম ও রসদ পাঠাতে শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা। সেই প্রক্রিয়া এখনও জারি রয়েছে। তার সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকে আকাশপথেও বাড়ল তৎপরতা। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ওই এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উড়তে দেখা গিয়েছে চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার। তার সঙ্গে ছিল অ্যাপাশে অ্যাটাক হেলিকপ্টার। এ ছাড়া পি-৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্ট (নজরদার বিমান) এবং আইএল-৭৬ স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টার-ও (কার্গো বিমান) উড়তে দেখা গিয়েছে লাদাখের আকাশে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেনার তরফে জানানো হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭৬ জওয়ান। তাঁরা প্রত্যেকেই সোমবার রাতের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জখম হয়েছেন। এঁদের মধ্যে লেহ-এর হাসপাতালে রয়েছেন ১৮ জন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে সেনা সূত্রের খবর। বাকিরা একাধিক হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। তাঁরা এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ওই সেনাধিকারিক।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাকটিকাল এয়ারলিফ্টার বিমান সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিকেও শুক্রবার সকালে দেখা গিয়েছে লাদাখের আকাশে। দৌলত বেগ ওল্ডির বিমানঘাঁটিতে নেমেই আবার তা উড়ে চলে গিয়েছে। তবে বাহিনী সূত্রে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপার হারকিউলিসের এই উড়ানের অর্থ হল এক ধরনের এক্সারসাইজ বা যুদ্ধাভ্যাস। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আরও দ্রুত বাহিনী ও রসদ বাড়ানোর কাজ করতে হবে। সেই প্রক্রিয়াই ঝালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন : গুলাম রসুল গালওয়ানের নামে এই গালওয়ান উপত্যকা, জেনে নিন তাঁর না জানা কথা

Gmail 3
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest