Site icon The News Nest

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সনিয়া গান্ধীর নির্দেশে গণআন্দোলনে নামছে কংগ্রেস

sonia gandhi

সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই সনিয়া গান্ধীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হয়েছিল। রাহুল গান্ধীও মায়ের সঙ্গেই বিদেশে। এখন কৃষি বিল নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আচমকা অস্ত্র পেয়ে যাওয়ায় সনিয়া-রাহুল বিদেশ থেকেই দলের নেতাদের নির্দেশ পাঠালেন, দেরি না করে মাঠে নেমে পড়ুন।

কংগ্রেসের কাছে এটা একটা বড় সুযোগ। কিন্তু আদৌ কংগ্রেস কি তা পারবে? দেশজুড়ে একের পর এক জনীবিরোধী নীতি গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। তেমনই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু তার বিরুদ্ধে জনমনে চেতনা জাগাতে বার্থ হয়েছে কংগ্রে। এবার কি তারা পারবে? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।

আরও পড়ুন : গুজরাট নয় ‘দিদির বাংলা’ ! ১০ মাদ্রাসা শিক্ষককে জায়গা দিল না সল্টলেকের অতিথিশালা

হাইকমান্ডের নির্দেশে সোমবার বিকেলে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠক ডেকে কংগ্রেস বৃহস্পতিবার থেকেই কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ‘গণ আন্দোলন’-এ নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সনিয়া বিদেশে যাওয়ার আগে ছ’জন কংগ্রেস নেতার কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। ওই কমিটিই এ দিন বৈঠক পরিচালনা করে। কমিটির সদস্য আহমেদ পটেল বলেন, ‘‘কংগ্রেসের বর্তমান সভানেত্রী ও প্রাক্তন সভাপতির নির্দেশেই আজকের বৈঠক ডাকা হয়েছে। মোদী সরকার ক্রমশ স্বৈরতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে। সংসদের অধিবেশনে তা স্পষ্ট।’’

কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এমনিতেই দলের মধ্যে সংগঠনকে চাঙ্গা করা, প্রতিটি স্তরে নেতৃত্বে সক্রিয়তার দাবি উঠেছিল। নড়েচড়ে বসার জন্য একটা কারণ দরকার ছিল। মোদী সরকার চাষিদের আপত্তি সত্ত্বেও কৃষি সংস্কারের বিল নিয়ে এসে তার সুযোগ করে দিল। এখন কংগ্রেসকে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। দেশের প্রায় ২৫০ কৃষক সংগঠন ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে। একই সময়ে আন্দোলনে নেমে কংগ্রেস নেতারা মোদী সরকার বিরোধিতাকে সর্বাত্মক চেহারা দিতে চাইছেন।

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘২৪ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ নেতারা সব রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে কৃষি বিলের পিছনে মোদী সরকারের আসল উদ্দেশ্য খোলসা করবেন। এর পর ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিটি রাজ্যে রাজ্যপালের কাছে রাষ্ট্রপতির নামে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।’’ জেলা ও তার নিচু স্তরেও এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে ২ অক্টোবর গাঁধী জয়ন্তীর দিন ‘কিসান মজদুর বাঁচাও দিবস’ পালন করে প্রতিটি জেলা সদর ও বিধানসভা কেন্দ্রের প্রধান এলাকায় ধর্না, বিক্ষোভ মিছিল হবে। এর পর ১০ অক্টোবর রাজ্য স্তরে কৃষক সম্মেলনের ডাক দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : RCB VS SRH: দুরন্ত চাহাল, হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু কোহলির

Exit mobile version