কেন্দ্রের কাজের ভাষা কেবল হিন্দি ও ইংলিশ কেন, প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভাষা এদেশের যেমন অন্যতম পরিচয়, তেমনই সমস্যাও বটে। সরকারের কাজের ভাষা শুধু হিন্দি ও ইংলিশ কেন, সেই নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলে যে সরকারের ১৯৬৩- সালের Official Languages Act -এ সংশোধনী আনা উচিত এবং দেশের সকল শিডিউল ভাষাকে অফিসিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজের মান্যতা দেওয়া উচিত। সেটা হলে শুধু ইংলিশ বা হিন্দি নয়, যে কোনও ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ করা যাবে।

সংবিধানের অষ্টম শিডিউলে যে ভাষাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেগুলিকে শিডিউল ভাষা বলা হয়। এগুলিকে সরকারি স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ শুধু হয় ইংলিশ ও হিন্দিতে।

আরও পড়ুন : চলছে আলোচনা, টিকটক কিনে নিতে পারেন মুকেশ আম্বানি

এদিন প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেন যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আছেন যারা সবাই ইংলিশ বা হিন্দি জানেন  না। সেখানে তাঁদের মাতৃভাষা ব্যবহার করতে পারলে সুবিধা হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি বলেন যে কর্নাটক, নাগাল্যান্ড বা মহারাষ্ট্রের গ্রামের লোকেরা হয়তো ইংলিশ বা হিন্দি নাও জানতে পারে। তিনি সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেন যে কেন্দ্রের উচিত অফিশিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজ অ্যাক্টকে বদল করার ।

দিল্লি হাই কোর্ট হালে নির্দেশ দিয়েছে খসড়া পরিবেশ বিষয়ক অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে বিজ্ঞপ্তিটি যেন ২২টি শিডিউলড ভাষায় জারি করা হয় । এই সিদ্ধান্তের বিরু্দ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র।আদালতে বলা হয় যে সংবিধানের ৩৪৩ ধারা অনুযায়ী দেশের দুটি সরকারি ভাষা হচ্ছে হিন্দি ও ইংলিশ।

আবেদনে বলা হয় যে সংবিধানে এটা বলা হয়নি যে সমস্ত শিডিউলড ভাষাকেই সরকারি ভাষা বলে গণ্য করা হবে।একই সঙ্গে এটাও বলা হয় অফিসিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজ অ্যাক্টের তিন নম্বর ধারা অনুযায়ী শুধু হিন্দি ও ইংলিশ ব্যবহার করা হবে বিজ্ঞপ্তি, অর্ডার, নিয়ম ইত্যাদির ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন : দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী, নয়া রেকর্ড গড়লেন নরেন্দ্র মোদী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest