এ মাসেই বাজারে আসতে চলেছে করোনা পরীক্ষার পেপার স্ট্রিপ ‘ফেলুদা’, যে স্ট্রিপের মাধ্যমে আধ ঘণ্টায় জানা সম্ভব কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছে কি না। ভারতের মতো দেশে অধিকাংশ মানুষই এখনও সংক্রমণের পরিধির বাইরে রয়ে গিয়েছে। ফলে আগামী দিনে সংক্রমণ খোঁজার প্রশ্নে ওই ফেলুদা স্ট্রিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে দিল্লিতে প্রথম ওই স্ট্রিপ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছে। ওই পেপার স্ট্রিপ রোগীদের নমুনার ভিত্তিতে কোভিডের ভাইরাল স্ট্রেনকে আলাদা করে শনাক্ত করতে পারবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের মতে, ইতিমধ্যেই প্রায় দু’হাজার রোগীর উপরে ওই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন গবেষকরা। দেখা গিয়েছে ৯৬% ক্ষেত্রে নিখুঁত ভাবে সংক্রমণকে চিহ্নিত করতে সফল হয়েছে ওই স্ট্রিপ।
আরও পড়ুন : যোগীরাজ্যে ধর্ষিতার গায়ে আগুন জ্বালাল ধর্ষকের কাকা, দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু নির্যাতিতার
বাণিজ্যিক ভাবে ওই স্ট্রিপ বাজারে আনছে টাটা সন্স সংস্থা। ওই আবিষ্কারের পিছনে রয়েছেন দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি (আইজিআইবি)-এর দুই বাঙালি বিজ্ঞানী সৌভিক মাইতি ও দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। গোটা প্রক্রিয়াটির নাম হল ‘এফএনসিএএস৯ এডিটর লিমিটেড ইউনিফর্ম ডিটেকশন অ্যাসে’— ইংরেজিতে সংক্ষেপে ফেলুদা।
কী বিশেষ সুবিধা মিলবে এই করোনা পরীক্ষার কিটে? বিজ্ঞানীদের দাবি, RT-PCR-এ যেখানে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে ‘ফেলুদা’ আধ ঘণ্টারও কম সময়ে জানিয়ে দেবে ফলাফল। এছাড়া এর খরচও অনেক কম। বিদেশি সংস্থার কিটে করোনা পরীক্ষার জন্য যেখানে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা, সেখানে ফেলুদার সাহায্যে এই পরীক্ষায় খরচ হবে মাত্র ৫০০-৬০০ টাকা।
আরও পড়ুন : এবার সাইকেল নিয়ে উঠে পড়তে পারবেন মেট্রোতে! তাও আবার বিনামূল্য