সংক্রমণে চিনকেও টপকে গেল ভারত, আক্রান্ত প্রায় ৮৬ হাজার, সুস্থ ৩০ হাজারের বেশি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

 নয়াদিল্লি: করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় চিনকে টপকে গেল ভারত। সেই সঙ্গে সংক্রমণের তালিকায় উঠে এল বিশ্বের মধ্যে ১১তম স্থানে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৮ জন। শনিবারই সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল ভারত।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৮৫ হাজার ৯৪০। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবেও নতুন সংক্রমণের মাত্রাটা লাফিয়ে বেড়েছে অনেকটাই। ৩৯৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই সময়ের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭৫২। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৩৫.০৯ শতাংশ। এই হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেইসঙ্গে মৃত্যুর হারও কম। ভারতে কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ৩.২ শতাংশ, যা বিশ্বে সবথেকে কম। এই দুই পরিসংখ্যান ইতিবাচক বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

মহারাষ্ট্রেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। এখানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৯১০০। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১০৬৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৫৬৪ জন। এরপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০১০৮। মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫৯৯ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। পশ্চিমের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯৩১ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬০৬ জনের। আর সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন ৪০৩৫ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮৯৫। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ৩৫১৮ জন।

২০১৯-এর নভেম্বরে চিনের হুবেই প্রদেশে প্রথম হানা দেয় করোনাভাইরাস। ভরকেন্দ্র ছিল উহান। তার পর সেখান থেকে দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে চিনের অন্যান্য প্রান্তে। সংক্রমণ ঠেকাতে ২৩ জানুয়ারি লকডাউনের পথে হাঁটে চিন। সে সময় সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৪৩। ৮ এপ্রিলে লকডাউন তুলে নেয় চিন। কিন্তু তত দিনে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় ৮৩ হাজারে। ৮ এপ্রিল থেকে ১৬ মে পর্যন্ত এই এক মাসে চিনে সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ১ হাজার ২২৫ জন। এই সময়ের মধ্যে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছে চিন।

আরও পড়ুন: Lockdown 4.0: ৩১ মে পর্যন্ত বাড়বে মেয়াদ, চলবে বাস, বিমান, আর যা হবে…

অন্য দিকে, ভারতে করোনার প্রথম সংক্রমণ ছড়ায় ৩০ জানুয়ারি। প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে কেরলে। তার পর ধীরে ধীরে গোটা দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করে মৃত্যুর সংখ্যাও। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্র। তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে এখন। লকডাউন চলা সত্ত্বেও দু’মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সংক্রমণের দিক থেকে চিনকে টপকে গেল ভারত। ১৪ এপ্রিলের পর থেকে দেশে করোনার সংক্রমণের হারটা বাড়তে শুরু করে। ৩০ জানুয়ারি থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই ৭৫ দিনে যেখানে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার, পরবর্তী ৮ দিনের মধ্যেই এই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে ২০ হাজারে পৌঁছয়। ২৩ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার। ১২ মে-র মধ্যে সেই সংখ্যাটা পৌঁছয় ৭০ হাজারে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৬১। মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৮২৯ জন। রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। কো-মর্বিডিটিতে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৯১০। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্ত ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার। গোটা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৬৯৬ জনের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। সেখানে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৮৭ হাজার।

আরও পড়ুন: বাঁশের স্ট্রেচারে শুয়ে আহত শিশু, কাঁধে নিয়েই ১৩০০ কিমি পাড়ি শ্রমিক পরিবারের

Gmail 2

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest