নয়াদিল্লি: পূর্ব উপকূলের কিয়দংশ তছনছ হয়েছে আমফানে। এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। দু’সপ্তাহের মাথায় আবার একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’। এবার পশ্চিম উপকূলের দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের উপর এই ঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা।
আরও এক বুধবার৷ অভিশপ্ত বুধবার বললেও, অত্যুক্তি হয় না৷ দুসপ্তাহ আগের বুধবারে বাংলাকে তছনছ করে দিয়ে যায় সাইক্লোন আমফান৷ এই সপ্তাহের বুধবার ধ্বংসলীলার প্রমাদ গুনছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত৷ ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিসর্গ৷ ভারতের হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, নিসর্গ এখনও পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপ হিসেবেই রয়েছে৷ খুব শীঘ্রই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷
আরও পড়ুন: অসমের বরাক উপত্যকায় ভূমিধসে চাপা পড়ে মৃত ২০, আহত বহু
সোমবার, জরুরি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। একাধিক পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ৬ ঘণ্টায় নিসর্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷ তারপরের ১২ ঘণ্টায় তা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে৷ আমফানের মতোই৷ এটি উত্তরের দিকে সরবে, তারপর একটি বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্বের দিকে এগিয়ে উত্তর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাতের উপকূল এলাকা পেরবে৷ IMD-র তথ্য অনুসারে, নিসর্গের ল্যান্ডফল অর্থাত্ ভূমিতে আছড়ে পড়বে আলিবাগের কাছাকাছি আগামিকাল অর্থাত্ বুধবার৷
ল্যান্ডফলের সময় নিসর্গের গতি সর্বোচ্চ ১২০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় থাকবে৷ নিসর্গের জেরে অতিভারী বৃষ্টি হবে মুম্বই, থানে, রায়গড়, সিন্ধুদুর্গ, পালঘর ইত্যাদি জায়গায়৷
নিসর্গের আগমনে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করে হয়ে গিয়েছে৷ মহারাষ্ট্রের উপকূল এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নানা পাকিবাড়ি (স্কুল, কলেজ ইত্যাদি)-তে রাখা হচ্ছে৷আরব সাগরে সাধারণত খুব বেশি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় না বঙ্গোপসাগরের মতো৷ IMD-র সাইক্লোনের ইতিহাস বলছে, ১৮৯১ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে ৫২০টির বেশি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে৷ সেখানে আরব সাগরে মাত্র ১৩০৷
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি পেরিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াবে ভারত, বৃদ্ধি হবেই, শিল্পমহলকে বার্তা মোদীর