ওয়েব ডেস্ক: ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর লাদাখের উত্তেজনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) রবিবার উচ্চপর্যায়ের সামরিক বৈঠকে অংশ নেন। ওই বৈঠকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ-সহ ভারতের তিন বাহিনীর প্রধানরাও অংশ নেন।
আগামী সোমবার রাশিয়া যাচ্ছেন রাজনাথ। গত ১৫ জুন লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার অতর্কিত আক্রমণে ভারতীয় সেনার ২০ জওয়ান নিহত হন, আহতের সংখ্যা ৭৬। সেই সংঘর্ষের রেশ ধরে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : গালওয়ান: আবেগ দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে,প্রশ্ন করলেই দেশদ্রোহী, বিঁধলেন কমল হাসান
সম্প্রতি রাশিয়াতে একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েতের ৭৫তম বিজয় উদযাপনে মস্কোর মিলিটারি প্যারেডে আমন্ত্রণরক্ষায় যাচ্ছেন রাজনাথ।
রাশিয়া সফরের আগে তাই সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রবিবার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনাবাহিনী প্রধান এম এম নারাভানে, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং এবং বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস বাহাদুরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজনাথ সিং। সেনাপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক বহুবিধ কারণেই ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবারই বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আর কে এস বাহাদুরিয়া বলেন, “খুব ভালোভাবে তৈরি আমরা, সেনা মোতায়েনের কাজও ভালোভাবে হয়েছে।সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই লেহ এবং থোয়েইস দুই এলাকার ঘাঁটিগুলিতে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বাড়াবে না ভারত, তবে যদি সীমান্তের ওপার থেকে উত্তেজনা বাড়ানো হয়, তাহলে একই ভাষায় জবাব দেবে ভারত। সূত্রের খবর, বৈঠকে বাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়।ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন যে, সেনাবাহিনীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি বুঝে তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরও পড়ুন : যোগাসন করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে! জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নানা টিপস প্রধানমন্ত্রীর