গণতন্ত্রে বিরুদ্ধ স্বরকে দমানো যায় না, শীর্ষকোর্টে প্রাথমিক জয় পেল পাইলট শিবির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সুবিধা হল না রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি যোশীর। শীর্ষ আদালত জানাল যে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার বিদ্রোহী বিধায়কদের বরখাস্ত করার যে নোটিস পাঠিয়েছেন, সেই নিয়ে আদেশ দিতে পারে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টে অরুণ মিশ্রর তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানাল যে আপাতত তারা রাজস্থান হাইকোর্টে যে মামলা চলছে, তাতে তারা হস্তক্ষেপ করবেন না। রাজস্থান হাইকোর্ট বলেছিল যে ২৪ জুলাই অবধি স্পিকার যেন নোটিসের বিষয় কোনও ব্যবস্থা না করেন। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে যান স্পিকার সিপি যোশী।

আরও পড়ুন : মাস্ক না পরলে জরিমানা ১ লাখ, লকডাউন বিধি ভাঙলে জেল ২ বছরের !

সচিন পাইলটের নেতৃত্বে কংগ্রেস বিধায়করা বিদ্রোহ ঘোষণার পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দু’টি বৈঠক ডেকেছিলেন। হুইপ জারি করে সব বিধায়ককে বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে যোগ দেননি সচিন পাইলট-সহ ১৯ জন বিধায়ক। ওই বিধায়কদের বরখাস্ত করা যায় কিনা, তা জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন স্পিকার সি পি জোশী।

পাল্টা মামলা দায়ের করে সচিন পাইলটদের দাবি ছিল, তাঁদের বরখাস্ত করতে পারেন না স্পিকার। কারণ, তাঁরা দল ছাড়তে চান না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বে বদল আনতে চান। সেই মামলার শুনানিতেই এ দিন এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।

স্পিকারের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন কংগ্রেসের আইনজীবী সাংসদ কপিল সিব্বল। শুনানিতে বিচারপতি অরুণ মিশ্রর পর্যবেক্ষণ, ‘‘ধরে নেওয়া যাক, ওই বিধায়করা মানুষের আস্থা হারিয়েছেন। কিন্তু দলে থাকা অবস্থায় তাঁদের বরখাস্ত করা যায় না। তা হলে অনেকেই সেটাকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করবে এবং কেউ দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেন না। গণতন্ত্রকে বিরুদ্ধ স্বরকে কখনওই এ ভাবে দমিয়ে রাখা যায় না।’’ যদিও এই পর্যবেক্ষণে রাজস্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি বিচারপতি মিশ্র।

এদিন সচিন পাইলটের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন যে স্পিকার যদি আগে নিজের থেকে দুই বার নোটিসের ওপর শুনানি স্থগিত করেছেন, তো এবার সমস্যা কি হল। একই প্রশ্ন করেন সচিন পাইলটের আরেক আইনজীবী হরিশ সালভে।

কপিল সিবাল বলেন যে কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়করা হুইপ জারি করা সত্ত্বেও আসেননি, নিজের দলের বিরুদ্ধে আস্থাভোট নেওয়ার দাবি করছেন। এই জন্যই তাদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করা হয়েছে যার শুনানি করবেন স্পিকার। কিন্তু আপাতত রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন : কেন শিবের ত্রিশূলে বাঁধা ডমরু? কিসের প্রতীক এটি? জেনে নিন এই শ্রাবণে…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest