শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে দেশ জোড়া সাধারণ ধর্মঘটের মধ্যেই পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ কয়েকটি রাজ্যের কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। নয়া কৃষক আইনের প্রতিবাদে বুধবার থেকে পথে নেমেছেন কৃষকরা। বর্তমানে কৃষকদের জমায়েত হরিয়ানা-দিল্লির সীমানার বদরপুরে রয়েছে কৃষকদের জমায়েত। বৃহস্পতিবারই তাঁদের রাজধানী দিল্লিতে ঢোকার সম্ভাবনা। তবে দিল্লি ও হরিয়ানার পুলিশ-প্রশাসনের তরফেও কড়া বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বদরপুরে রাস্তায় ব্যারিকেডের পাশাপাশি নামানো হয়েছে সিআরপিএফ। উড়ছে ড্রোন ক্যামেরা। দিল্লির মেট্রো পরিষেবাও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সকাল থেকে।
পাতিলায়া-আম্বালা জাতীয় সড়কে কৃষকদের আটকাতে জল কামানের ব্যবহার। ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের শেল।
Police use water cannon to disperse farmers who have gathered at Shambhu border, near Ambala (Haryana), to proceed to Delhi to stage a demonstration against the farm laws passed by the Centre pic.twitter.com/IaPPS9b3o4
— ANI (@ANI) November 26, 2020
#WATCH Police use water cannon to disperse farmers gathered at Shambhu border, near Ambala (Haryana), to proceed to Delhi to stage a demonstration against the farm laws pic.twitter.com/U1uXO0MdOs
— ANI (@ANI) November 26, 2020
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির শাসনভার আম আদমি পার্টির হাতে থাকলেও পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে। বুধবারই দিল্লি পুলিশের তরফে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘বেশ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচির (২৬ এবং ২৭ নভেম্বর) আবেদন পেলেও তার কোনওটির অনুমতি দেওয়া হয়নি। সব আবেদন খারিজ করা হয়েছে এবং সংগঠনগুলিকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে’। পুলিশকে সহযোগিতার আর্জি জানিয়ে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের আন্দোলনের জেরে নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে দিল্লির মেট্রো। টুইটারে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কৃষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সকাল থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, বদরপুরেও কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সিমেন্ট এবং লোহার অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে সিআরপিএফ। কৃষকরা যাতে রাজধানীতে ঢুকতে না পারেন, তার জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। হরিয়ানায় মনোহরলাল খট্টর সরকারের প্রশাসনও একাধিক বন্দোবস্ত করে রুখে দিতে চাইছে কৃষকদের। দু’দিনের জন্য পঞ্জাব সীমান্ত পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ দুই রাজ্যের মধ্যে বাস চলাচল। তার উপর বহু জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
#WATCH Police use tear gas shells to disperse farmers who are gathered at Shambhu border, near Ambala (Haryana) to proceed to Delhi to stage a demonstration against the farm laws pic.twitter.com/ER0w4HPg77
— ANI (@ANI) November 26, 2020
সংসদের বিলম্বিত বাদল অধিবেশনে তিনটি কৃষক বিল পাশ হওয়া নিয়ে তুলকালাম হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে। সেই সময় প্রায় সারা দেশেই প্রতিবাদ হয়েছিল ওই তিন আইনের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হয়েছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানায়। পঞ্জাব বিধানসভায় কেন্দ্রের ওই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবনাও পাশ হয়েছে। এর মধ্যেই সম্প্রতি ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয় পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যের বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সেই প্রতিবাদ আন্দোলন। পঞ্জাব থেকে হেঁটে দিল্লি আসছেন কৃষকরা। তবে মঙ্গলবার হরিয়ানায় একাধিক বার বাধা পেয়েছেন তাঁরা। জলকামান ছোড়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের উপর। হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে পঞ্জাবের সঙ্গে সব সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে সে সব বাধা পেরিয়ে বুধবারই দিল্লির উপকণ্ঠে এসে পৌঁছন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: