একের পর এক বৈঠকের পরও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে না চিন। গত সপ্তাহেই চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপান রাওয়াত বলেছিলেন, আলোচনার রাস্তা বন্ধ হলে সেনা সমাধানের পথ খোলা রাখছে ভারত। এরকম এক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চিন সাগরে রণতরী মোতায়েন ভারত। এনিয়ে প্রবল রুষ্ট বেজিং।
২০০৭ সাল থেকে দক্ষিণ চিন সাগরে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে চিন। দুনিয়া সবচেয়ে ব্যাস্ত এই সমুদ্রপথে চিনের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় কৃত্তিম দ্বীপ তৈরি করেছে বেইজিং। একইসঙ্গে সেনার উপস্থিতিও বাড়াচ্ছে।
Post-Galwan clash, Indian Navy quietly deployed warship in South China Sea
Read @ANI Story | https://t.co/jA5c4blTYP pic.twitter.com/DizuCMmqUM
— ANI Digital (@ani_digital) August 30, 2020
গালওয়ানে ২০ ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পর চুপ করে বসে নেই ভারত। লাদাখ সীমান্তে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে সেনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘গত ১৫ জুন গালওয়ানে ২০ জওয়ান শহিদ হওয়ার পর দক্ষিণ চিন সাগরে একটি শক্তিশালী রণতরী মোতায়েন করেছে ভারত। ওই অঞ্চলে ভারত-সহ অন্যান্য দেশের উপস্থিতি নিয়ে বরাবরই আপত্তি করে আসছে চিন।’
দক্ষিণ চিন সাগরে ইতিমধ্যেই রণতরী মোতায়েন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার ভারত সেই তালিকায় যুক্ত হওয়ায় চাপে পড়ে গেল চিন। গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গেই করেছে ভারত। এর পাশাপাশি আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও উপস্থিতি বাড়াচ্ছে নৌসেনা। উদ্দেশ্য, ভারত মহাসাগরে চিনা সেনার উপস্থিতি নজরে রাখা।
অনেকে বলছে মার্কিন নির্বাচন শেষ হলেই ছবিটা হয়ত বদলে যাবে। তবে সেটা বুক ঠুকে বলা যায় না। কারণ সরকার বদলালাতেও দ্রুত বিদেশনীতি বদলায় না। মোদী জমানায় দ্রুত দেশের বিদেশ নীতি বদলানো একটা চলছে। রাজনীতির সঙ্গে বিদেশনীটিকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতদিন দেশটির মূল পরিচয় ছিল গণতান্তিক দেশ। এখন সেখানে হিন্দুত্বের মোরকে দেশপ্রেম আমদানি করা হয়েছে। হিন্দুত্ব, দেশপ্রেম এবং সেনাকে মিশিয়ে অদ্ভুত একটা পরিচয় তৈরির চেষ্টা চলছে। যেটা কাঙ্খিত নয় বলে মনে করছেন অনেকে। গোটা ব্যাপারটি এমন দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে যে তাতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ অনেকের।