কৃষি বিল বিরোধিতায় উত্তাল রাজ্যসভা,রুল বুক হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ ডেরেকের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দু’টি কৃষি বিল পাশ হওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যসভা ৷ ওয়েলে নেমে রুল বুক ছেঁড়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের বিরুদ্ধে ৷ এমন কি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের মাইক্রোফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি ৷ যদিও রুল বুক ছেঁড়ার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডেরেক ৷ তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, ‘সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷’

ক্ষুব্ধ ডেরেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে ৷ কিন্তু বর্তমান হারে ২০২৮ সালের আগে তা সম্ভব নয় ৷ আমরা শুধু ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে আপত্তি করছি না ৷ নতুন বিলগুলিতে গণবণ্টন ব্যবস্থা, ফসল কেনার প্রক্রিয়া, রাজ্যের অধিকারের মতো বিষয়গুলি নিয়েও আমাদের আপত্তি রয়েছে ৷’

আরও পড়ুন : আত্মনির্ভর ভারত! সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের পথে ভারত পেট্রোলিয়াম, গ্যাসে ভরতুকি মিলবে তো?

ট্যুইটারে নিজের বক্তব্যের দু’টি ভিডিও পোস্ট করেন ডেরেক ও ব্রায়েন ৷ সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা কৃষি বিল নিয়ে ভোটাভুটি চাইলেও সেই দাবি মানেনি সরকার৷ ডেরেকের অভিযোগ, সরকার জানত ভোটাভুটি হলে এই বিল পাশ হত না৷ কারণ রাজ্যসভায় তেরো থেকে চোদ্দটি বিরোধী দল এই বিলগুলির বিরুদ্ধে ছিল ৷’

তৃণমূল সাংসদ আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যসভায় কী ঘটছে তা চেপে রাখার জন্য রাজ্যসভা টিভি-তে বিরোধীদের বিক্ষোভ সম্প্রচারিত হয়নি ৷ ডেরেকের অভিযোগ, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটি অত্যন্ত দুঃখের একটি দিন ৷

এ দিন সংসদেও কৃষি বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে ডেরেক বলেন, ‘আমি এমন একটি দলের প্রতিনিধি যার নাম তৃণমূল কংগ্রেস ৷ একটু পিছিয়ে আমরা ২০০৬ সালে চলে যাই ৷ এই দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের স্বার্থে ২৬ দিন অনশন করে নিজের জীবন বিপন্ন করেছিলেন৷ তিনি কৃষকদের অধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন ৷

প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে ডেরেক বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিরোধীরা নাকি কৃষকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে৷ আমি প্রশ্ন করতে চাই, এই অভিযোগ তোলার মতো কী বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে আপনার? আপনি ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু বর্তমান হারে ২০২৮ সালের আগে তা সম্ভব নয়৷’

আরও পড়ুন : আচ্ছে দিন ! সরকারের অনুমতি ছাড়াই কোম্পানিতে নিয়োগ ও ছাঁটাই চালুর প্রস্তাব কেন্দ্রের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest