খুলতে চলেছে সংসদ। প্রথা ভেঙে অগস্টের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরেই বর্ষাকালীন অধিবেশন বসতে চলেছে বলে খবর। তবে তার আগে চূড়ান্ত সতর্কতা গ্রহণ করা হচ্ছে। সাংসদ ও কর্মীদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেনজির পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
কোনওরকম ঝুঁকি না-নিয়ে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে একাধিক বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সোশ্যাল ডিসট্যানসিং বজায় রাখতে দুই কক্ষেই হবে চেম্বার, গ্যালারি। ভাইরাস মারার জন্য থাকবে ডিভাইস। রবিবার একটি সূত্রের মারফত্ এই খবর জানা গিয়েছে।লোকসভা ও রাজ্যসভা – সংসদের উভয় কক্ষেই বসতে চলেছে অধিবেশন।
আরও পড়ুন : ‘চোখের জল আটকে রেখে ক্রিকেটকে গুড বাই বলেছো, তোমার জন্য গর্বিত,’ ধোনির অবসর নিয়ে সাক্ষী
দূরত্ব বজায় রেখে সাংসদরা যাতে কাজ করতে পারেন তার জন্য সংসদ ভবনের ভেতরে বসানো হচ্ছে ৪টি ৮৫ ইঞ্চি স্ক্রিন। এছাড়াও ৪টি গ্যালারিতে থাকছে ৪টি ৪০ ইঞ্চির স্ক্রিন। সবকটি স্ক্রিনেই সম্প্রচার করা হবে লাইভ ডিবেট। এছাড়াও স্যানিটাইজড করতে রাজ্যসভায় আল্ট্রা ভায়োলেট ইরর্যাডিয়েশন সিস্টেম বসানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রাজ্যসভায় জীবাণু ও ভাইরাসকে খতম করার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ইউনিটের সঙ্গে আলট্রাভায়োলেট ইররেডিয়েশন সিস্টেম ইনস্টল করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল ডিসট্যানসিং ও কোভিড ১৯-এর যাবতীয় নিয়ম মেনে গোটা ভবনকে সাজিয়ে তোলার পরই সরকার অধিবেশন শুরুর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে বলে জানিয়েছে সূত্র।
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী নেতার আসন সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও এইচডি দেবগৌড়ার আসনও সংরক্ষিত থাকবে। সূত্রের খবর, লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রতিদিন অধিবেশন হবে মাত্র ৪ ঘণ্টা।
সংসদের আধিকারিক ও সাংবাদমাধ্যমও যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাত্র ১৫ জন করে ওই দুই ক্ষেত্রের লোকজন বসার জায়গা পাবেন। এমনও শোনা যাচ্ছে মাত্র ৭ জন সাংবাদিককে বাদল অধিবেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে। অধিবেশন চলাকালীন প্রাক্তন সাংসদের সেন্ট্রাল হলে ঢোকার পাস দেওয়া হবে না। লোকসভা ও রাজ্যসভা টিভিতে অধিবেশনের লাইভ সম্প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন : রাজভবনে নজরদারি চলছে, পাচার হচ্ছে গোপন নথি, দাবি ধনখড়ের