দিল্লির ধুলো-ধোঁয়ায় অসুস্থতা বাড়তে পারে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর। তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে আপাতত দিল্লি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সেই পরামর্শ মেনেই শুক্রবার বিকেলে গোয়া চলে গেলেন সনিয়া।
দিল্লিতে এখন করোনার থেকে বেশি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে দূষণের সমস্যা। একে তো করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ঘুম উড়েছে আপ প্রশাসনের। তার মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ। দিল্লি যেন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। অসহনীয় দূষণ দেশের রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের উপরও প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: Covid-19: ‘সামাজিক দূরত্ব নয়’ কথাটি হবে ‘শারীরিক দূরত্ব’, মমতার কথা মানল কেন্দ্র
চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ধোঁয়াশা এবং দূষিত বাতাসের কারণে সনিয়ার বুকে ফের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট। তাই করোনা আবহে কোনও ঝুঁকি না নেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দু’বার এমনই সমস্যার কারণে দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল কংগ্রেস নেত্রীকে। প্রথম বার ফেব্রুয়ারির গোড়ায়। দ্বিতীয় বার জুলাই মাসের শেষ পর্বে।
শ্বাসকষ্ট ছিল সোনিয়া গান্ধীর। সেইসঙ্গে অনেকদিন ধরেই তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণের সমস্যাও রয়েছে। আর তাই দিল্লির দৃষণ তাঁর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন চিকিত্সকরা। দিল্লির দূষণের মাত্রা কবে নাগাদ কমবে তার কোনও ঠিক নেই। তাই কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে অবিলম্বে দিল্লি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা।
অসুস্থতার কারণে ১৪-২৩ সেপ্টেম্বর সংসদের বাদল অধিবেশনেও যোগ দেননি তিনি। চিকিৎসার জন্য বিদেশেও গিয়েছিলেন বলে দলের একটি সূত্রের খবর। এখনও তাঁর চিকিৎসা চলছে এবং নিয়মিত মেডিক্যাল চেক আপ করাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গোপনে বিয়ে সেরেছেন প্রভু দেবা ! ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে বাঁধা পড়লেন সাত পাকে