প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে গায়েব চিনা অনুপ্রবেশের নথি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বৃহস্পতিবার খোদ ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকেই উধাও হয়ে গেল লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের নথি!

এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে দু’পক্ষের ডিভিশন এবং কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকের উল্লেখও ছিল উধাও হওয়া নথিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদল বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘ওখানে (লাদাখ) কেউ আমাদের সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে আসেনি। ওখানে আমাদের এলাকায় কেউ ঢুকেও বসে নেই।’’ এ বার সরকারি দস্তাবেজ থেকেও মুছে গেল লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ।

আরও পড়ুন : ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা ফৌজ ঢুকেছিল, এই প্রথম স্বীকার করল মোদী সরকার

জুন মাসের কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত ৫ মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর, বিশেষ করে গালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলে চিনা আগ্রাসনের মাত্রা বেড়ে চলেছে। গত ১৭-১৮ মে চিনারা কুগরাং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং ৎসো সরোবরের উত্তর তীরবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে।’

মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল মে মাসের গোড়ায় লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত নথিটি। সাইটের ‘কী নতুন’ বিভাগে ‘এলএসি-তে চিনা আগ্রাসন’ শিরোনামে লেখা হয়েছিল, ‘‘২০২০ সালের ৫ মে থেকে লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা বিশেষত গালওয়ান উপত্যকায় চিনের হানাদারি বাড়ে। মে মাসের ১৭-১৮ তারিখে চিনারা কংরং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং লেকের উত্তর পাড়ে এলএসি অতিক্রম করে।’’

অনেকে এই খবর শুনে বলেছেন সব নথি ধীরে ধীরে মুছে যাবে। কেবল থেকে যাবে ‘আস্থা।’ মোদী বাবু নিজে বলেছেন বাইরে থেকে কেউ ঢোকেনি। তাঁর এই মন্তব্যের অর্থ দাঁড়ায় আমাদের জওয়ানরা গায়ে পরে চীনের সীমায় ঢুকে প্রাণ দিয়েছে। মোদীর দাবি এবং চীনের দাবি এক্ষেত্রে এক। ফলে এসব নথি যত দ্রুত সম্ভব মুছে ফেলা যায় ততই ভালো।

আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্ট থেকে ‘হাওয়া’ বিজয় মালিয়ার মামলার নথি, পিছিয়ে গেল শুনানি

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest