মাদ্রাজ হাইকোর্টর ভর্ত্সনার পর কোভিড প্রোটোকল নিয়ে কঠোর হল নির্বাচন কমিশন। ২রা মে বিধানসভা নির্বাচন জিতলেও পাঁচ রাজ্যের কোথাও বিজয় মিছিল করতে পারবে না বিজয়ী দল। পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হলে ২ মে-র আগে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে এজেন্ট এবং প্রার্থীদের।
২ মে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পুডুচেরি, কেরল, তামিলনাড়ুতে ভোটগণনা। বাংলা ছাড়া বাকি চারটি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন শেষ। বাংলায় এখনও এক দফা নির্বাচন বাকি। তার আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, জিতলেও কোনও দল বিজয়মিছিল করত পারবে না। এমনকী জয়ের পর কোনও জমায়েতও করা যাবে না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার গোটা দেশ। এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলির বিজয়মিছিল মরণফাঁদ তৈরি করতে পারে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়-বাড়ন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত কয়েক মাস ধরে কোভিড প্রোটোকল না-মেনে চলা প্রচার বন্ধ না-করে, কমিশন সবচেয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করেছে। এ জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন সরবরাহ আটকালে ফাঁসি, বেনজির হুঁশিয়ারি দিল্লি হাইকোর্টের
নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার জন্য আদালতের নির্দেশ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলি যখন তা না-মেনেই প্রচার চালিয়েছেন, তখন আপনারা কোনও পদক্ষেপ করেননি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের জনস্বাস্থ্য। সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষকে এ ভাবে সেটা মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে, এটা খুবই হতাশাজনক।’
প্রয়োজনে ভোটগণনা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আদালত বলে, এখন আপনাদের আমরা আশ্বস্ত করে বলছি, ‘কীভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা হবে, তা নিশ্চিত করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা আদালতকে না জানাতে পারলে আগামী ২ মে আমরা গণনা বন্ধ করে দেব। গণনা স্থগিত বা পিছিয়ে দেওয়াও হতে পারে।’ আর এই ধমকের পরই আজ কমিশনের এই কড়া ঘোষণা।
সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি তামিলনাড়ুর করুর বিধানসভা সিটে গণনার ব্যাপারে দায়ের হওয়া পিটিশন-এর শুনানিতে ছিলেন। তখনই নির্বাচন কমিশনকে দেশের করোনা পরিস্থিতি এতটা খারাপ হওয়ার জন্য দায়ী করে আদালত।
আরও পড়ুন: শপথ নেওয়ার ২ দিনের মধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি