মৌখিক পর্যবেক্ষণ যেন খবর না হয়, ‘ইমেজ’ বাঁচাতে সংবাদমাধ্যমকে বেড়ি পরাতে চায় নির্বাচন কমিশন

কমিশনের তরফে আদালতে এও জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় তরঙ্গের বৃদ্ধির জন্য যদি কারও দায় থাকে, সেটা রাজনীতিকদেরই, নির্বাচন কমিশনের নয়।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দেশে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়ানোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) দায়ী বলে মাদ্রাজ হাই কোর্ট (Madras High Court) তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনকে ‘খুনি’র সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। আদালতের এই পর্যবেক্ষণে আপত্তি জানাল নির্বাচন কমিশন।

মাদ্রাজ হাই কোর্টে নির্বাচন কমিশন বলেছে, এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে যে সব খবরাখবর প্রকাশিত হয়েছে, তাতে স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসাবে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্ণ’ হয়েছে। তাদের হলফনামায় বলা হয়েছে—যে নির্দেশ, রায় এবং পর্যবেক্ষণ আদালত রেকর্ড করছে তা সংবাদমাধ্যম সম্প্রচার বা প্রকাশ করুক। মৌখিক যে কথা এজলাসে বলা হচ্ছে তা থেকে বিরত থাকুক। আর এই আবেদন আসলে নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লাগার কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আরও পড়ুন: অতিমারীর সময়েও সামরিক খরচে বিশ্বে ‘থার্ড বয়’ ভারত

গত ২৬ এপ্রিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট দেশে করোনা পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আজ দেশের এই পরিস্থিতির জন্য আপনারাই দায়ী। যখন বড় বড় সমাবেশ হচ্ছিল তখন আপনারা কী অন্য গ্রহে ছিলেন?‌ আপনাদের বিরুদ্ধে তো খুনের মামলা দায়ের করা উচিত।’ আর এই সমস্ত কথা সংবাদমাধ্যম, সংবাদপত্র এবং ডিজিটাল মিডিয়া ফলাও করে প্রকাশ করেছিল। আর তাতেই নাকি আঁতে ঘা লেগেছে নির্বাচন কমিশনের বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই বিষয়ে পাল্টা আবেদন করেছে তারা।

তামিলনাড়ুর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সত্যব্রত শাহু হলফনামা জমা দিয়েছেন আদালতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মৌখিক পর্যবেক্ষণ চূড়ান্ত রায়ে নথিভুক্ত করা হয়নি। সেইদিন সেই মামলায় মৌখিক পর্যবেক্ষণ নথিভুক্ত করা হয়নি। অথচ মিডিয়া তা নিয়েই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মৌখিক পর্যবেক্ষণই খবরে স্থান পেয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি স্বশাসিত সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কমিশনের তরফে আদালতে এও জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় তরঙ্গের বৃদ্ধির জন্য যদি কারও দায় থাকে, সেটা রাজনীতিকদেরই, নির্বাচন কমিশনের নয়।

আরও পড়ুন: Exit Poll: এনআরসির কাঁটায় বিদ্ধ অসমে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি না কংগ্রেস জোট?

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest