স্বাধীন ভারতে প্রথমবার কোনও মহিলার প্রাণদণ্ডের আদেশ, ফাঁসির দড়ি আসছে বক্সার থেকে

২০০৮ এপ্রিলের এই ‘‌বিরলের থেকেও বিরল’‌ নৃশংসতার ঘটনায় শবনমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম একজন মহিলা অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়া হবে। আমরোহার বাসিন্দা শবনম। প্রেমিকের সঙ্গে নিজের পরিবারের সাতজনকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল। ২০০৮ এপ্রিলের এই ‘‌বিরলের থেকেও বিরল’‌ নৃশংসতার ঘটনায় শবনমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মথুরা জেলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার নির্দেশ দিয়েছে। শবনমের মার্সি পিটিশন, বা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতিও।

মথুরা জেলে দেড়শ বছর আগে মহিলাদের ফাঁসির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হলেও, তাতে কোনও দিন ফাঁসি হয়নি৷ জেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমার বলেছেন যে, এখনও ফাঁসির তারিখ নির্ধারিত হয়নি, তবে আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শবনমকে ফাঁসি দেওয়া হবে।নির্ভয়া মামলায় দোষীদের ফাঁসি দিয়েছিলেন মিরাটের পবন জল্লাদ৷ তিনি ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মথুরার ফাঁসির জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন৷

২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলে আমরোহার বাসিন্দা শবনম তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে কুঠুরি দিয়ে পরিবারের সাত সদস্যকে নির্মমভাবে খুন করে।উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার হাসানপুর এলাকার বাওয়ানখেদি গ্রামে বসবাসরত শিক্ষক শওকত আলির একমাত্র মেয়ে হল শবনম৷ শওকত আলির পরিবারে ছিলেন স্ত্রী হাশমি, ছেলে আনিস, রশিদ, পুত্রবধূ আঞ্জুম, মেয়ে শবনম এবং দশ মাসের নাতি আরশ৷ মেয়ে শবনমকে তিনি খুবই আদরের সঙ্গে বড় করেন৷

আরও পড়ুন: ভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিয়ে মেনে নেওয়ার সেরা সময় এটাই: Supreme Court

স্নাতোকত্তরের পর শবমন শিক্ষিকা হিসেবে কাজ শুরু করে৷ তবে তার প্রেম যেন জীবনে ঝড় নিয়ে আসে৷ গ্রামেরই ছেলে সেলিমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে সে৷ সেলিম ছিল পঞ্চম শ্রেণী ফেল। ওই গ্রামেই কুলির কাজ করত সে। সেই কারণে এই সম্পর্ক মানতে চায়নি শবনমের পরিবার। তাই সেলিমের সঙ্গে পরামর্শ করে রাতে বাড়ির সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যেত শবনম৷ এমনটা চলে দীর্ঘদিন৷ শেষে একদিন বাড়িতে আসে শবনমের দিদি৷ সেদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর, শবনম ও সেলিম সিদ্ধান্ত নেয় সকলে খুন করার৷

সেই মতো নিজের পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে খুন করে শবনম৷ সকাল হতে গ্রামে রটিয়ে দেয় যে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে৷ তবে ধীরে ধীরে তার ওপর সন্দেহ যায় এবং তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ গ্রেফতার করা হয় সেলিমকেও৷ জেরায় ঘটনা স্বীকার করে দু’জনে৷ সুপ্রিম কোর্টেও ফাঁসির সাজা বহাল রাখে শবনমের৷ একই সঙ্গে ফাঁসি হবে সেলিমেরও।

আরও পড়ুন: টানা ৯ দিন উর্ধ্বমুখী জ্বালানির দর! সেঞ্চুরি পার পেট্রোলের, মহার্ঘ ডিজেলও

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest