সরকারের বিরোধিতা করার অর্থ দেশদ্রোহিতা নয়, ফারুক আবদুল্লা মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়

অভিযোগ প্রমাণিত করতে না পারায় মামলাটি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একইসঙ্গে মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেই ‘দেশদ্রোহী’-র তকমা জোটে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বহু বারই এমন অভিযোগ করেছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। তবে সরকারের বিরোধিতা করলেই যে তা ‘দেশদ্রোহী’ হওয়া, তেমন মনে করে না দেশের শীর্ষ আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ‘‘সরকার-বিরোধী মতপোষণ করা বা সরকারের বিরোধিতা করলেই তা দেশদ্রোহিতা, এমনটা বলা যায় না।’’ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) নেতা ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে একটি আবেদনের শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।

ঠিক কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট? বুধবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, ”কোনও দৃষ্টিভঙ্গি সরকারের মতের বিরোধী ও তার থেকে আলাদা হলেই তাকে দেশদ্রোহ বলা যায় না।” পিটিশনটি খারিজ করার পাশাপাশি অভিযোগকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল কেন্দ্র। এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টি(National conference Party)-র নেতা ফারুক আবদুল্লা বলেছিলেন, “৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করার বিষয়টি চিন ভালভাবে গ্রহণ করেনি। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যা হচ্ছে, তার পিছনে আসল কারণ হল ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করাই। তাঁদের সহযোগিতায় জম্মু-কাশ্মীরে ফের ৩৭০ অনুচ্ছেদ জারি করা হবে বলেই আশা করছি।”

আরও পড়ুন: বাংলার পর পঞ্জাবের ভোটের দায়িত্বে প্রশান্ত কিশোর, তিক্ততা ভুলে ফের কংগ্রেসের সঙ্গে

এরপরই আবদুল্লার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগকারী জানান, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করার পর ফারুক আবদুল্লা চিন ও পাকিস্তানের কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করেছিল।ফারুককে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে আবেদনকারীদের মন্তব্য, ‘‘ফারুকের সংসদীয় সদস্যপদ কেড়ে না নেওয়া হলে ভারতে তাঁর মতো দেশদ্রোহীদের কাজকর্মেই উৎসাহ দেওয়ার শামিল হবে। দেশের ঐক্যের পক্ষে যা ক্ষতিকারক।’’ কিন্তু নিজের অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ৮৩ বছরের ফারুক। গৃহবন্দিত্ব কাটতেই রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের পক্ষেও দাবি জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে ফের বন্দি করা হয়েছে বলেও শোনা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: দিল্লি পুরনিগমের উপনির্বাচনে বড় সাফল্য আপের, খালি থাকল বিজেপির ঝুলি

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest