নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা! কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে নয়া কৃষি আইন উপেক্ষার ডাক সোনিয়ার। সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে কৃষি বিল। রাষ্ট্রপতি সেই বিলে সম্মতিও দিয়ে দিয়েছেন। এখন আইনে পরিণত হয়েছে ওই ৩ কৃষি বিল। এরপরও কেন্দ্রের নতুন ওই কৃষি আইন উপেক্ষা করার ডাক দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
কৃষি আইন নাকচ করতে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে আইন প্রণয়নের চিন্তা-ভাবনা করতে আহ্বান জানালেন সনিয়া। দেশজোড়া কৃষক সংগঠনগুলির বিক্ষোভের আবহে সোমবার সনিয়ার এই আহ্বান যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে আরও শক্তিশালী করবে, তা মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন : করোনার বিপদ এড়িয়ে কীভাবে দুর্গা পুজোর আনন্দে মাতবেন? গাইডলাইন প্রকাশ রাজ্যের
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পঞ্জাব আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল। সেখানে আন্দোলনে নেমেছে কৃষকদের একশো সংগঠন। এবার বিক্ষোভ শুরু হল কর্ণাটকেও। সোমবার কৃষকদের বিক্ষোভে সামিল হন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং।
কিন্তু কেন্দ্রীয় আইনকে কী ভাবে নাকচ করা যাবে? সে উপায়ও বাতলে দিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা কে সি বেনুগোপাল। এ দিন টুইটারে তিনি লিখেছেন, “মাননীয়া কংগ্রেস সভানেত্রী কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে তাদের রাজ্যে সংবিধানের ২৫৪(২) ধারার আওতায় এমন আইন পাসের সম্ভবনা ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে (কৃষি আইন নিয়ে) কেন্দ্রীয় আইনকে নাকচ করা যায় এবং তাতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন হয়।”
কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা আইন কি এ ভাবে নাকচ করা যায়? সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, সনিয়া যে ধারার উল্লেখ করেছেন, তাতে এই সংস্থান রয়েছে। সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কিত কোনও ক্ষেত্রে রাজ্য বিধানসভা যদি এমন কোনও আইন প্রণয়ন করে, যা সংসদীয় আইনের পরিপন্থী এবং সেটি রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে, সে ক্ষেত্রে তা রাজ্যে বলবৎ করা যেতে পারে।
কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। রাজধানী দিল্লি, পঞ্জাব, কর্নাটক থেকে তা ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে।
কৃষক সংগঠন তথা বিরোধী দলগুলির দাবি, নয়া আইন কৃষক-বিরোধী। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকেরা। যদিও সরকারের দাবি, এতে উপকৃত হবেন কৃষকেরাই।যদিও সরকারের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁদের যুক্তি, কৃষক ও কর্পোরেট সংস্থাগুলির মাঝে মধ্যস্থতাকারীদের সরিয়ে দিলে দরাদরি করার ক্ষমতা হারাবেন কৃষকেরা।
আরও পড়ুন : জালে পেল্লাই ভোলা ভেটকি, বিক্রি তিন লাখ টাকায়, রাতারাতি বড়লোক বৃদ্ধা