সিংঘু সীমান্তে ফের আত্মঘাতী কৃষক, সরকারকে দাবি মানার শেষ আর্জি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আত্মঘাতী হলেন আরও এক প্রতিবাদী কৃষক। শনিবার দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন পঞ্জাবের ফতেগড় সাহিবের এক কৃষক। নাম অমরিন্দর সিং। বয়স ৪০ বছর। সিংঘুর আন্দোলনকারী এক কৃষক জানান, এদিন সন্ধ্যায় সীমানায় প্রতিবাদী মঞ্চের পিছনে গিয়ে বিষ খান অমরিন্দর। এরপরই মঞ্চের সামনে এসে পড়ে যান। অন্যান্য কৃষকরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। কেন্দ্রের কৃষি আইনের (Farm Laws) প্রতিবাদে এই আত্মহত্যা বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

পরে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেহ। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখনও অমরেন্দ্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে প্রতিবাদরত কৃষকদেরই দেহ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: শাসক দলের বিরোধিতা কী দেশদ্রোহিতা, প্রশ্ন সচেতন সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু মনে

চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল সিংঘু সীমান্তে। গত সপ্তাহেই দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তে ৭৫ বছরের এক কৃষকের দেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তরপ্রদেশের কাশ্মীর সিংহের দেহের পাশে পাওয়া যায় একটি নোট। সেখানে লেখা ছিল, ‘আর কত দিন ঠান্ডায় আমাদের বসে থাকতে হবে? সরকার একেবারেই আমাদের কথা শুনতে চাইছে না। আমি আত্মঘাতী হচ্ছি যাতে একটা সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে।’

নভেম্বর মাসে কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন কৃষকের আত্মহত্যার খবর এসেছে। পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের সামনে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ চালাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁরা বারবার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও সমাধান সূত্র মেলেনি। কৃষকরা এখনও কৃষি আইন প্রত্যাহার-সহ তিনটি দাবিতে অনড় রয়েছেন। সরকারও তার অবস্থান থেকে সরেনি। কথা আছে, ২৬ জানুয়ারি কুচকাওয়াজে ট্রাক্টর নিয়ে প্রবেশ করবেন কৃষকরা।

আরও পড়ুন: টুইটারে মোদীকে তীব্র আক্রমণের জের, সিনিয়র পাইলটকে বহিষ্কার করল GoAir

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest