জারি থাকবে আন্দোলন, জনজোয়ারে ভাসল ‘মহাপঞ্চায়েত’,শনিবার দিল্লি যাওয়ার হুঁশিয়ারি অন্নদাতাদের

বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের চেহারাটা একেবারেই আলাদা। হতাশার গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসে যেন নতুন উদ্যমে ফুটছেন কৃষকরা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিপুল সাড়া মহাপঞ্চায়েত-এ। আন্দোলনকারী কৃষকদের গাজিপুর সীমান্ত ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিল কৃষকরা। তল্পি-তল্পা গুটিয়ে একদল রওনাও দিয়েছিল বাড়ির উদ্দেশে। কিন্তু ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েতের আবেদনেই ফিরে এসেছেন তাঁরা। শুক্রবার দুপুরেই আয়োজন করা হয় মহাপঞ্চায়েত(Mahapanchayat)-র। বৈঠকের পর কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait) বলেন, “গাজিপুরে আন্দোলন বজায় থাকবেই”।

বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের চেহারাটা একেবারেই আলাদা। হতাশার গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসে যেন নতুন উদ্যমে ফুটছেন কৃষকরা। সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে শুধু গাজিপুর সীমানায় এখনও পর্যন্ত জড়ো হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কৃষক। সেখানে আন্দোলনের আওয়াজ আরও জোরদার হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘‘মাত্র ৪০ সেকেন্ড লেগেছে কৃষক আন্দোলনকে ফের জাগরিত করতে। বৃহস্পতিবার রাতে গাজিপুর সীমানায় যা অবস্থা হয়েছিল, তা দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনার থেকেও মারাত্মক’। টুইটারে রাকেশ টিকায়েত লিখেছেন, ‘সকলে বলেন সত্যের কখনও পরাজয় হয় না। কিন্তু সত্যি সবসময় জয় পায়? সত্য অর্জন করার পরেও অসত্য কখনও কখনও তা চাপা দিয়ে দেয়, আমি নিজে দেখেছি’।

অন্যদিকে, হাজার হাজার কৃষক শুক্রবার মুজফ্‌ফরনগরে আয়োজিত কিসান মহাপঞ্চায়েতে অংশ নেন। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি দিল্লির শাসক দল আপ-এর প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়, শুক্রবার গাজিপুর সীমানা থেকে কৃষকরা ফের দিল্লিতে ঢুকবেন। আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ দিল্লিতে আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন, কারণ সেখানে জল, খাবার, ইত্যাদি কোনও কিছুর অভাব হবে না।

আরও পড়ুন: অযোধ্যার মসজিদে নামাজ ‘হারাম’! ব্যাক্তিগত দাবি ওয়েইসির, আপত্তি অনেকের

কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করল তৃণমূলও। লেখা হল, ‘বিজেপি কৃষকদের যে ভাবে ভয় দেখাচ্ছে আমরা তার কঠোর সমালোচনা করছি। দেশের কৃষকদের চোখে যখন জল, তখন বিজেপি সরকার আন্দোলন স্থলের বিদ্যুৎ পরিষেবা কেটে দিচ্ছে, রাস্তা বন্ধ করছে, সিসিটিভি নষ্ট করার চক্রান্ত করছে’। টুইটে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছে।

https://twitter.com/VijayPrakashJi/status/1355075777088389127?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1355075777088389127%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fpublish.twitter.com%2F%3Fquery%3Dhttps3A2F2Ftwitter.com2FVijayPrakashJi2Fstatus2F1355075777088389127widget%3DTweet

অন্যদিকে, আজ দুপুরে সিংঘু সীমান্তে প্রায় ২০০ জন স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং তাঁদের উপর পাথর ছোড়েন। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘটনাস্থল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। আজকের ঘটনার পরই হরিয়ানা (Haryana) সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অম্বালা, যমুনা নগর, কুরুক্ষেত্র, কার্নাল, পানিপত, ফতেহাবাদ, রোহতক, সিরসা সহ বিভিন্ন জায়গায় আগামিকাল বিকেল অবধি যাবতীয় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। একমাত্র ভয়েস কলই চালু রাখা হবে।

আরও পড়ুন: দিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ, ঘটনাস্থলে NIA

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest