ফের বিতর্কিত কৃষি আইনের সমর্থনে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গুজরাটের একটি মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেন কৃষকদের ভুল পথে চালিত করছে বিরোধীরা। তিনি বলেন, “কৃষি আইনে যে সংশোধন আনা হয়েছে তা কৃষক সংগঠনগুলি ও বিরোধী দলগুলি অনেক আগে বছর ধরেই চেয়ে আসছিল।”
পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী এ-ও জানান, ভারত সরকার সব সময় কৃষকদের স্বার্থের পক্ষেই। কৃষকদের সব সমস্যার সমাধান করবে সরকার, এমনটাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে কৃষি আইনের এই সংশোধন চেয়ে এলেও এখন উল্টো সুরে কথা বলছে বিরোধীরা। যার মাধ্যমে ভুল পথে চালিত হচ্ছেন কৃষকরা।
আগেও একাধিকবার কৃষি আইনের স্বপক্ষে মুখ খুলেছেন মোদী। আসরে নামিয়েছেন তাঁর সরকারের দুই শীর্ষ মন্ত্রীকে। তাতেও অবশ্য কৃষকদের ক্ষোভের মাত্রা কমেনি। বরং মঙ্গলবার সেই আন্দোলনে ২০ দিনে পড়েছে। আর তাতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মোদী। বিরোধীরা কৃষকদের ভুল পথে চালিত করছেন বলেও অভিযোগ করেন।
নাম না করে কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেন, ‘আজ যাঁরা বিরোধীদের আসনে বসে আছেন এবং কৃষকদের বিভ্রান্তদের করছেন, তাঁরা নিজেদের সরকারের আমলে এই কৃষি সংস্কারের পক্ষে ছিলেন। নিজের সরকারের সময় তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। আজ দেশ যখন ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে, তখন সেই লোকরাই কৃষকদের বিভ্রান্ত করছেন।’
২০ দিন ধরে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা অনড়। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কৃষক নেতারা। কিন্তু কোনও বৈঠকেই রফাসূত্র মেলেনি। বরং বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হেঁটেছেন কৃষকরা।
৮ ডিসেম্বর সারা ভারত বনধের ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা। এরপর তাঁরা টোল প্লাজা দখল করেছেন, সারা ভারতে অনশনের ডাক দিয়েছেন। আন্দোলনে সাড়া দিয়ে জন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অশীতিপর অন্না হাজারেও। কিন্তু এত কিছুর পরেও কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে অনড় কেন্দ্র। বারবার নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইনের সমর্থনে কথা বলেছেন। পাল্টা কৃষকরাও জানিয়েছেন, আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের: নয়া বছরের প্রথম দিন থেকেই ৩% ডিএ সরকারি কর্মীদের