আন্দোলনকারী কৃষকদের ক্ষোভ সামলাতে মঙ্গলবার সরাসরি আলোচনায় বসলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তিনটি বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারে সরকার রাজি না হওয়ায় অনড় রইলেন কৃষক নেতারাও। ফলে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে সমাধানসূত্র অধরাই রইল।
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বুধবারের বৈঠক বাতিল ঘোষণা করলেন বিক্ষুব্ধ কৃষকা। এ দিন সকালে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নেতা রাকেশ টিকাইত এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে খসড়া পাঠানোর পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। এ দিন টিকাইত বলেন, ‘কেন্দ্র আমাদের খসড়া পাঠানোর পরে বৈঠকের আয়োজন করা হবে। সেখানে এই খসড়া নিয়ে আলোচনা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আশা করি আজ বিকেল ৪-৫টার মধ্যে সব কিছু পরিষ্কার বোঝা যাবে।’
আরও পড়ুন: রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার যুক্তের প্রক্রিয়ার শেষ ৩১ ডিসেম্বর, নির্দেশ কেন্দ্রের
বৃহস্পতিবারও কৃষক সংগঠনের নেতারা আদৌ বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা । তিনি বলেন, ‘‘সরকার গত পাঁচটি বৈঠক ধরে একই কথা বার বার বলছে। অমিত শাহকে আমরা বলেছি, নতুন কথা বলুন। একই কথা আওড়ে কী লাভ? দেখা যাক, সরকার কী লিখিত প্রস্তাব দেয়। আমরা পরের বৈঠকে যোগ দেব কি না, তা কালই ঠিক হবে। তবে এর সম্ভাবনা কম।’’
সরকার এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল, এপিএমসি-র বাইরে থাকা মান্ডিতেও সমান কর, ফসল কেনার আগে ব্যবসায়ীদের নথিভুক্তি, চুক্তি চাষে বিবাদে কর্পোরেট সংস্থার বিরুদ্ধে কৃষকদের আদালতে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকার আইনে সংশোধন করতে রাজি। সরকারি ফসল কেনায় এমএসপি-র নিশ্চয়তা দিতেও সরকার তৈরি। কিন্তু কৃষক নেতারা আগের বৈঠকেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। ওই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই তাঁরা অনড়।
আরও পড়ুন: জনপ্রিয়তায় বছর শেষে ফের রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি